জানা-অজানা

যে ৭টি চিরচেনা পেশায় আত্মহত্যার ঝুঁকি সবচাইতে বেশী!

যে ৭টি চিরচেনা পেশায় আত্মহত্যার ঝুঁকি সবচাইতে বেশী!

মানুষ কাজ করে বাঁচার জন্যে। আরো একটু ভালোভাবে, আরো একটু নিজের মতন করে বাঁচার জন্যে। কিন্তু কেমন হবে ব্যাপারটা যদি আপনার কাজই আপনাকে ঠেলে দেয় আরো একটু বেশি আত্মহত্যার ঝুঁকির দিকে? শুনতে অদ্ভুত শোনালেও সত্যি যে কিছু বিশেষ কর্মক্ষেত্র রয়েছে যেগুলো মানুষকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করে। সত্যি বলতে গেলে, সেই পেশার মানুষগুলোর ভেতরে আত্মহত্যার পরিমাণ দেখাও যায় বেশি। জানতে চান কী সেই পেশাগুলো? আসুন জেনে নিই।

৭. বিজ্ঞানী
অবাক করা ব্যাপার হলেও বাস্তবে বিজ্ঞানীদের ভেতরে আত্মহত্যা করার প্রবণতা বেশি দেখতে পাওয়া যায়। মূলত তাদের ভেতরকার নতুন কিছু করার জন্যে সবসময় উপস্থিত থাকা মানসিক চাপ আর একে অপরের প্রতি প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব, হেরে যাওয়ার প্রচন্ড অনুভূতি তাদের প্ররোচিত করে এরকম একটা ভুল কাজ করতে। প্রতি বছর গড়ে ৪৫ জন পুরুষ আর ৫ জন নারী বিজ্ঞানী আত্মহত্যা করেন। আর অন্যসব পেশার চাইতে তাদের আত্মহত্যা করার ঝুঁকিও থাকে ১.২৮ শতাংশ বেশি।

৬. ফার্মাসিস্ট
তালিকার শুরুর দিকটায় নিশ্চয়ই আপনি আশা করেননি এ পেশাটির নাম? কিন্তু প্রতিনিয়ত মানসিক চাপ, কর্মস্থলের চাপ আর পরিবেশ পরিস্থিতির ভিন্নতার কারণে অথবা অন্য যে কারণেই হোকনা কেন অন্যদের চাইতে ২০ শতাংশ বেশি মানসিক চাপে থাকে ফার্মাসিস্টরা। আর তাই তাদের ভেতরে আত্মহত্যার প্রবণতাও থাকে অন্যসব পেশার চাইতে ১.২৯ শতাংশ বেশি।

৫. পুলিশ
পুলিশ হিসেবে কাজ করাটা অনেকটা লাভজনক পেশা বলে মনে হলেও আদতে অর্থনৈতিক সমস্যা, মানসিক চাপ ও নৈতিকতার মিশেলে বেশ ঝামেলায় পড়ে যেতে হয় এ পেশার মানুষগুলোকে। প্রায়ই মানসিক চাপে ভুগে থাকা পুলিম কর্মীদের ভেতরেও তাই দেখা যায় আত্মহত্যার ভয়াবহ মাত্রা।

৪. উকিল
উকিল হবার পূর্বেই আইন পড়তে থাকা শিক্ষার্থীদের ভেতরে অন্যদের চাইতে ৪০ শতাংশ হতাশা কাজ করে বলে জানা যায় এক জরিপ থেকে। আর তাই ওকালতি পেশায় প্রবেশের পর সেটা যে আরো বেড়ে যায় অনেকগুন, তা নিশ্চয় বলার দরকার পড়ে না। খুব সঙ্গত কারণেই তাই উকিলদের ভেতরে আত্মহত্যার পরিমাণ অন্য পেশার মানুষদের চাইতে ১.৩৩ শতাংশ বেশি দেখতে পাওয়া যায়।

৩. ডাক্তার
একবার ভাবুন তো, আপনার চোখের সামনে কাতরাচ্ছে একটা মানুষ। অথচ তার কোন সাহায্যই আপনি করতে পারছেন না। হয়তো বিনা চিকিত্সাতেই আপনি মরতে দিলেন তাকে একজন ডাক্তার হয়েও, শুধু তার টাকা নেই কিংবা রোগের উপযুক্ত চিকিৎসা নেই বলে। হয়তো হঠাৎ করেই আপনাকে আক্রমণ করে বসল কেউ একজন। মৃত ব্যাক্তির কোন আত্মীয় দোষারোপ করলো রোগীর মৃত্যুর জন্য, আপনি শত চেষ্টা করার পরও। দিনের পর দিন বাসায় না ফিরতে পারায় অশান্তি শুরু হল সংসারেও। খুব সহজেই অনুমান করে নেওয়া যায় কেন ডাক্তারদের ভেতরে আত্মহত্যা করার পরিমাণ এতটা বেশি।

২. সাহিত্যিক
সাহিত্যিকেরা আরো দশটা মানুষের চাইতে একটু আলাদা হয়ে থাকেন। ভিন্নভাবে ভাবতে পছন্দ করেন। সবাইকে বিশ্বাস করতে ভালোবাসেন। কিন্তু পৃথিবীটা সবসময় তাদের সঙ্গ দেয়না। তাদের ভাবনার চাইতে বাস্তবটা অনেক আলাদা হয়ে থাকে। এছাড়াও অর্থকষ্টের সমস্যায়ও তাদেরকে পড়তে হয় অনেকটাই বেশি। হতাশা আর অভিমানে আত্মহত্যার সম্ভাবনা আরো অনেকের চাইতে তাই সাহিত্যিকদের ভেতরে একটু বেশি থাকে।

১. প্রকৌশলী
জরিপে দেখা গিয়েছে আরো অন্যদের চাইতে ১.৮৯ শতাংশ বেশি আশংকা থাকে প্রকৌশলীদের আত্মহত্যা করবার। নানারকম চাপ, নৈতিকতাজনিত সমস্যা এবং ঘর ও বাইরের সমস্যাগুলো সমাধানের ফাঁকে জীবন সম্পর্কে প্রচন্ড হতাশ হয়ে পড়েন তারা। ফলাফল দাঁড়ায় আত্মহত্যায়।

তথ্যসূত্র-
The 10 Professions With the Highest Suicide Rate- www.therichest.com

আরও পড়ুন ::

Back to top button