জানা-অজানা

অদ্ভুত সুন্দর স্টার ফিশ- জেনে নিন ৯টি অজানা বিচিত্র তথ্য

অদ্ভুত সুন্দর স্টার ফিশ- জেনে নিন ৯টি অজানা বিচিত্র তথ্য

বিচিত্র বর্ণের এই সুন্দর প্রাণীটির কথা হয়ত সবাই শুনে থাকবেন। অনেকে দেখেও থাকবেন সমুদ্রের সৈকতে। এটির আকৃতি তারার মত বলে এক স্টারফিশ বলা হয়ে থাকে। এদের দেহের উপরের অংশটি কাঁটাযুক্ত আচ্ছাদনে ঢাকা আর নিচের অংশটি বেশ নরম হয়ে থাকে। জেনে নিন এই সামুদ্রিক প্রাণীটি সম্পর্কে অজানা সব কথা। বিচিত্র এই প্রাণীটির আছে আসলেই অনেক অদ্ভুতুড়ে তথ্য। যেমন, নামে ফিশ হলেও এটি আসলে মাছ নয়!

১. স্টারফিশ আসলে কোনো মাছ নয় :
যদিও স্টারফিশ সমুদ্রের নিচে বসবাস করে এবং এদের ফিশ অর্থাৎ মাছ বলা হলেও এরা প্রকৃতপক্ষে কোনো মাছ জাতীয় প্রাণী না। এদেও মাছের মত ফুলকা বা পাখনা নেই। মাছের চলাচলে সাহায্য করে এর লেজ আর পাখনা কিন্তু স্টারফিশের চলাচলে সাহায্য করে এর ক্ষুদ্র কতগুলো নল।

২. স্টারফিশ আসলে একিনোডার্মস :
স্টারফিশ আসলে একাইনোডার্মাটার একটি পর্ববিশেষ। এরা আসলে বালির প্রাণী, সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষ। সব ধরনের একিনোডার্মসের ৫ টি দৈহিক অঙ্গ থাকে। এতে করে তার মূল দেহটি মাঝখানে থাকে।

৩. হাজার প্রজাতির স্টারফিশ রয়েছে :
মোটামুটিভাবে ২০০০ প্রজাতির স্টারফিশ রয়েছে সামুদ্রিক জলে। এদের কোনোগুলো জলের উপরিভাগে, কোনোগুলো গভীর জলে, কোনোগুলো ক্রান্তীয় অঞ্চলে আবার কোনোগুলো ঠান্ডা জলে বসবাস করে।

৪. সব স্টারফিশের ৫ টি বাহু থাকে না :
স্বাভাবিকভাবে আমরা জানি সব স্টারফিশের ৫ টি করে বাহু থাকে তারার ৫ টি বাহু। কিন্তু সবগুলোরই ৫ টা বাহু থাকে না অনেক স্টারফিশের তারও বেশি বাহু থাকে। যেমন সান স্টারফিশের ৪০ টি বাহু রয়েছে।

৫. স্টারফিশ ক্ষয়ে যাওয়া বাহু পুনরায় তৈরি করতে পারে :
এটা অবাস্তব হলেও সত্যি যে কোনো স্টারফিশের যদি কোনো বাহু নষ্ট হয়ে যায় বা কেটে পড়ে যায় তাহলে সেটিকে আবার পুনরায় তৈরি করতে পারে এই আজব প্রাণী স্টারফিশ। পুরাতন বাহুর জায়গায় নতুন একটি বাহু গজিয়ে যায়।

৬. স্টারফিশ তার উপরের খোলস দিয়ে নিজেকে রক্ষা করে থাকে :
প্রজাতির ভিন্নতা অনুযায়ী স্টারফিশের ত্বক পাতলা, কঠিন এবং কাঁটাযুক্ত হয়ে থাকে। এর উপরের ত্বকটি ক্যালসিয়াম কার্বোনেটযুক্ত যা তাদের দেহকে প্রতিরক্ষা করতে সহায়তা করে। ত্বকের এই স্তরটি দিয়ে এরা দেহকে শিকারী, পাখি, মাছ বা সামুদ্রিক অন্যান্য প্রাণী থেকে রক্ষা করে থাকে।

৭. বাহুগুলো দিয়ে এরা চলাফেরা করে :
মাছ যেমন তাদের ফুলকা এবং পাখনার সাহায্যে চলাচল করে থাকে স্টারফিশ তেমনি এদের বাহুগুলো দিয়ে চলাফেরা করে থাকে।

৮. আহারের জন্য এরা ভেতরের পাকস্থলীকে বাইরে বের করে আনে :
স্টারফিশ কিছুটা আজব প্রক্রিয়ায় আহার করে থাকে। এদের মুখ দেহের ভিতরে থাকে। এরা সামুদ্রিক বিভিন্ন ঝিনুক, ছোট মাছ, শামুক এবং রাজহংসের মত আহার করে থাকে। অর্থাৎ ভেতরে থাকা মুখ বাহিরে বের করে এনে আহার করে আবার আহার শেষে মুখ ভিতরে লুকিয়ে রাখে।

৯. স্টারফিশের চোখ আছে :
দেখে মনে হবে স্টারফিশের কোনো চোখ নেই। কিন্তু স্টারফিশের আসলেই চোখ আছে তবে সেগুলো হল প্রতিটি বাহুর শেষ প্রান্তে অবস্থিত। খুবই ছোট্ট আকৃতির চোখ রয়েছে যেগুলো দেখতে লাল আলোর মত দেখায়। এই চোখগুলো দিয়ে স্টারফিশ খুব একটা পরিস্কার দেখতে পারে না তবে আলো এবং অন্ধকারের পার্থক্য বুঝতে পারে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button