স্বাস্থ্য

ওজন কমাতে চুমু!

ওজন কমাতে চুমু!

ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশের অন্যতম ভাষা হচ্ছে চুমু। প্রিয়জনের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু, হোক তা মৃদু কিংবা গাঢ়, এই অনুভূতি অন্যকোনোভাবে বোঝানো সম্ভব নয়। শরীর ভাল রাখতেও চুমু খাওয়া দরকার। এমনকি ওজন কমাতেও পারে এই যাদুকাঠি। চলুন, দেখে নিই চুমুর আর কী কী উপকারিতা রয়েছে।

হ্যাপি হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে: চুমু খেলে মস্তিষ্কের প্লেজার সেন্টার জেগে ওঠে। অক্সিটোসিন, দোপামিন, সেরোটনিন-এর মতো হরমোন নিঃসৃত হয় যা মন মেজাজ ভাল করতে পারে। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের পরিমাণও কমিয়ে দেয়, ফলে নিজেকে দারুণ ঝরঝরে লাগে। অক্সিটোসিন আবার উদ্বেগ কমাতে পারে এবং মন শান্ত করতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে: চুমু খেলে হৃদয়ের গতি এমনভাবে বেড়ে যায়, যে শরীরের রক্তনালী বড় হয়ে যায়। এর ফলে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় এবং রক্তচাপ কমে যায়। মানে চুমু শুধু হৃদয়কে ভাল রাখে তাই নয়, সুস্থও রাখে।

পিরিয়ডের সময় তলপেটের ব্যথা কমাতে পারে: চুমু খেলে যেহেতু রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়, সেহেতু তলপেটের চাপ কমে যায়। পিরিয়ডের সময় কষ্ট পেলে চুমু ওষুধের মতো কাজ করতে পারে। একইভাবে মাথা ব্যাথাতেও আরাম দিতে পারে চুম্বন।

কোলেস্টেরোলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে: গবেষণা করে দেখা গেছে যে দম্পতিরা ঘন ঘন চুমু খান, তাঁদের শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ, যাঁরা চুমু খান না তাঁদের তুলনায় বেশি। বাজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম থাকায় তাঁদের হৃদয় সুস্থ থাকে এবং হার্টের অসুখ বা স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কমা যায়।

ক্যালরি ঝরাতে সক্ষম: অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষকদের মতে, শরীরকে টোনড ও মেদহীন রাখতেও চুমুই অস্ত্র! গাঢ় চুমুর বেলায় মিনিটে ৪-৬ ক্যালোরি পর্যন্ত বার্ন হতে পারে। কতটা আন্তরিকতার সঙ্গে ও কতক্ষণ একটানা চুমু খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করবে কতটা ক্যালোরি ঝরবে।

চুমুর এমন উপকারকে ‘সুইট রিওয়ার্ড’ বলে ডাকছেন জাইয়া। তার মতে, স্মুচিং বা গভীর চুমু, সুস্থ থাকার মাপকাঠি। দিনে কতবার চুমুতে ওজন কমানোর প্রতি অনেকটা এগিয়ে থাকা যাবে? বা ক্যালোরি ঝরানোর উদ্দেশে যে চুমু, তার যে কোনো সময়সীমা নেই সেকথাও কিন্তু জানিয়েছেন গবেষকরা। গবেষকদের মতে, দিনে অন্তত ৩-৪ বার চুমুতে মিলবে উপকার। শুধু তা-ই নয়, এমন ভঙ্গিমায় চুমু খেতে হবে, যাতে মুখের পেশীগুলো সক্রিয় হয়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button