স্বাস্থ্য

বিষণ্ণতা কাটাতে কি করবেন?

বিষণ্ণতা কাটাতে কি করবেন?

জীবন চলার পথে আমরা নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হই। কখনও নিজের অজান্তেই মন খারাপ হয়ে যায়। ভর করে বিষণ্ণতা। আর এই বিষণ্ণতা অল্প সময়ের জন্য তো হতেই পারে। কিন্তু সমস্যা বাঁধে তখনই, যখন দীর্ঘ সময়ের জন্য মনে বিষণ্ণতা নেমে আসে। বিষণ্ণতা কেবল মন খারাপ বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এটি আমাদের শরীর, মেজাজ ও কাজের ক্ষতির কারণ। বিষণ্ণতার কারণে কাজের প্রতি অনীহা তৈরি হয়, মেজাজ সবসময় খিটখিটে থাকে। বিষণ্ণতা জীবনে ক্ষতিকর বিষয় হয়ে দেখা দেয়। তাই এটি দূর করার জন্য আপনাকেই সচেষ্ট হতে হবে। বিষণ্ণতা দূর করার সহজ কিছু উপায়-

ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো
বিষণ্ণতার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে যে সমস্যা, সেটি হলো হতাশা। হতাশাকে ঝেড়ে ফেলতে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো নেতিবাচক বিষয়গুলো প্রত্যাহার করা। এক্ষেত্রে সঙ্গী বাছাই করুন যারা ইতিবাচক কথা বলে, কাজ করে। নিজের ভাবনার উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। মিডিয়ার ভালো খবর, ভালো সিনেমা দেখতে হবে। হাস্যরসাত্মক বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।

পর্যাপ্ত ঘুম
বিষণ্ণতার প্রথম ও প্রধান কারণ হলো ঘুমের অভাব। আপনাকে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। ঘুমের ব্যাঘাত শুধু আমাদের শারীরিকভাবেই ক্ষতি করে না, এটা তৈরি করে মানসিক অবসাদ। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমালে বিষণ্ণতার দূর করা অনেকটা সহজ হয়ে যায়।

সঠিক খাদ্যভ্যাস
সঠিকভাবে খাদ্যগ্রহণ এই রোগ অনেকটা কমিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, উপযুক্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবারের অভাবে বিষণ্ণতার দেখা দিতে পারে। আর তাই তারা ভিটামিন ‘বি’ সমৃদ্ধ খাবার খেতে বলেন বেশি করে।

মন ফ্রেশ রাখুন
মন ফ্রেশ রাখতে বিষণ্ণতা আসে এমন বিষয়গুলো ভাবা বন্ধ করে দিন। হঠাৎ আসা বিপদে কখনও ভেঙে পড়বেন না। নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হোন, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করুন, সময় ব্যয় করুন। এমন হতে পারে এদের সাথে মিশে এতটাই আনন্দিত হবেন যে, আপনি কল্পনাও করতে পারেননি। আপনার দিনগুলোকে করবে আনন্দময়। অতএব আনন্দময় মুহূর্তগুলোর কাছে কৃতজ্ঞ হোন।

দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করুন
আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা করুন এবং সেটা দীর্ঘমেয়াদী হতে হবে। আজ থেকে ৫ বছর পরে নিজেকে কোথায় দেখতে চান এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে কি করা উচিৎ, সেগুলা নিয়ে ভাবুন। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজে লেগে থাকলে বিষণ্ণতা গ্রাস করতে পারবে না।

খেলাধুলার সঙ্গে সম্পর্ক করুন
কাজের ফাঁকে কিছু সময় শিশুদের সঙ্গে খেলতে পারেন কিংবা আপনার পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটান, টেলিভিশনে নিজের প্রিয় খেলাগুলোকে দেখতে পারেন। এতে বিষণ্ণতা আপনার কাছে আসবে না।

সামাজিক কর্মকাণ্ড বাড়ান
আমরা সামাজিক জীব, বেঁচে থাকতে হলে আমাদের সবার সাথে মিশতে হবে। যারা হাসিখুশি থাকেন, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেন, পরিবার নিয়ে ঘুরতে যান, তাদের বিষণ্নতা কম হয়।

প্রকৃতিকে ভালোবাসুন
মাঝে মাঝে বাইরের জগতে পা রাখতে পারেন। প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারাতে পারেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের মাধ্যমে মন ভালো করা যায়। এমন যদি হয় যে, আপনি আপনার আশেপাশের মানুষগুলোর প্রতি হতাশ; তবে তাদেরকে কয়েকদিনের জন্য দূরে সরিয়ে প্রকৃতিকে কাছে টেনে নিতে পারেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button