বিনোদন

খ্যাতিমান এই তারকাদের সন্তানরা কে কোথায়?

খ্যাতিমান এই তারকাদের সন্তানরা কে কোথায়?

আমরা তো জানি অমিতাভ বচ্চনের ছেলের নাম। আমরা জানি ঋষি কাপুরের ছেলের নামও। শাহরুখ, সাইফ আলী খানদের ছেলেরা তো এখন নিয়মিত মিডিয়া কাভারেজ। অভিষেক বচ্চন, রনবীর কাপুর, আরিয়ান কিংবা তৈমুরদের কে না চেনেন। বলিউডে তারকা সন্তানদের রয়েছে বিশেষ কদর। তাদের দিকও মিডিয়ার কম নজড় থাকে না। তবে সব তারকার সন্তানের দিকেই নজড় দেয় মিডিয়া? কিছু পরিচিত জনপ্রিয় তারকার সন্তানরাও পড়ে থাকে আড়ালে। সেই সব তারকা সন্তানদের খোঁজ নেওয়া হলো:

অমরেশ পুরি:
১৯৫৭ সালে অমরেশ পুরি উর্মিলা দিভেকারকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই সন্তান-মেয়ে নম্রতা আর ছেলে রাজিব। অমরেশ পুরির চার নাতি নাতনি আছে। ২০০৫ সালের ১২ই জানুয়ারি ৭২ বছর বয়সে সেরিব্রাল হেমারেজে আক্রান্ত হয়ে এই কালজয়ী্ এবং অসাধারণ অভিনেতা মুম্বাইয়ের সিটি হাসপাতালে মারা যান। নম্রতা একজন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং খুবই সাধারণ ভাবে থাকতে ভালোবাসেন। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য সেলিব্রিটি বাচ্চাদের মতো নম্রতা পুরির বলিউডের প্রতি কোনো আগ্রহ নেই এবং তিনি লাইমলাইট থেকে দূরে। অমরেশ পুরির নাতি বর্ধন কাপুরেরও খুব শিঘ্রই সিনেমায় অভিষেক হচ্ছে। বর্ধন রাজিবের ছেলে। রাজিব একজন সফল ব্যাবসায়ী।

কাদের খান:
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা কাদের খান। গত বছরের শেষদিনে কানাডার একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। কাদের খানের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। বলিউড সিনেমার এক শক্তিমান অভিনেতা কাদের খান। ১৯৭০ সালে দিলীপ কুমারের হাত ধরে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। ‘সাগিনা মাহাতো’ সিসেমার মধ্যে দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করে তিনি। সেই থেকে পিছনে তাকাতে হয়নি এই অভিনেতকে। বলিউডে চার দশক দাপটের সাথে অভিনয় করেছেন তিনি। কাদের খান মুম্বাইয়ে বসবাস করেছেন। তার পরিবারের সদস্যরা কানাডা এবং হল্যান্ড বাস করে। কাদের খানের তিন ছেলে সারফরাজ খান, সাহনাওয়াজ খান এবং কুদ্দুস খান। সরফরাজ খান বলিউডের কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে সালমান খানের সঙ্গে তার বেশ সখ্যতা। সালমান খানের বন্ধুর চরিত্রে ‘তেরে নাম’ ছবিতে তার অভিনয় প্রশংসা পেয়েছে। সাহনাওয়াজ খান সহকারী পরিচালক হিসেবে বলিউডে কাজ করছেন। আর কুদ্দুস খান কানাডায় বসবাস করেন।

পরেশ রাওয়াল:
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। জন্ম ভারতের মুম্বাই শহরে। অভিনয় জীবন শুরু ১৯৮৪ সালে। হোলি নামক সিনেমা দিয়ে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেতা। পরেশ রাওয়ালের স্ত্রী স্বরূপ সম্পতও একজন অভিনেত্রী। তাদের দুই ছেলে। এক ছেলে আদিত্য রাওয়াল সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন। ‘বমফাদ’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখতে চলেছেন তিনি। আরেক ছেলে অনিরুদ্ধ সহকারী পরিচালক হিসেবে বলিউডে পা দিয়েছেন। সালমান খানের ‘সুলতান’ সিনেমায় তিনি সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।

ওম পুরি:
পুরো নাম ওম রাজেশ পুরি। ভারতের পাঞ্জাবের পাতিয়ালার একটি হিন্দু পরিবারে ১৯৫০ সালের ১৮ই অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতা রেলওয়ে এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ওম পুরি পুনের ভারতীয় চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার একজন ছাত্র, যেখানে অপর আরেক খ্যাতনামা অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ্ সাথে তার সহপাঠি ছিলেন। ওম পুরি চলচ্চিত্র দিয়ে রঙিন দুনিয়ায় পা রাখেন, ‘ঘাঁসিরাম কোতোয়াল’ নামের ছবিটি চলচ্চিত্রের মধ্যে দিয়ে।

ব্যক্তিগত জীবনে ওম পুরির দুজন স্ত্রী ছিলেন। ১৯৯১ সালে অনু কাপুরের বোন সীমা কাপুরকে বিয়ে করেন। সীমা একজন পরিচালক ও লেখিকা। কিন্তু বিয়ের মাত্র আট মাসের মাথায় তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। পরে নন্দীতা পুরিকে বিয়ে করে ওম পুরি। নন্দিতা পুরির সঙ্গে দীর্ঘ সময় সংসার করার পর তাঁদেরও বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। দ্বিতীয় সংসারে তাদের একমাত্র ছেলে ঈশান। এখনো পাড়াশুনা শেষ করতে পারেননি ঈশান। তবে বাবার জন্য একটি ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছেন। যেখান থেকে মানুষকে সাহায্য করা হয়।

অণুপম খের:
বালিউডের উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে একজন। তিনি প্রায় ৪০০টি বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। অণুপম খের ‘আগমন’ সিনেমার মধ্যে দিয়ে ১৯৮২ সালে চলচ্চিত্রে পদচারণা শুরু করে। ১৯৮৫ সালে অণুপম খের অভিনেত্রী কিরণ খেরকে বিয়ে করেন। কিরণ খেরের পুত্র সিকান্দার খের। অনুপমের সৎ ছেলে সিকান্দার খের। সিকান্দার একজন অভিনেতা। বলিউডের বেশ কয়েকটি সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন।

নাসিরুদ্দিন শাহ:
বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেতা। ব্যক্তিগত জীবনে নাসির উদ্দিন শাহ্ দুই বিয়ে করেন। তার ঘটনাবহুল জীবনের সবচেয়ে নাটকীয় পর্ব শুরু হয় যখন ১৯-২০ বছরে পরিবারের সবার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে ৩৬ বছরের মানারা শিকরিকে বিয়ে করেন। তার প্রথম স্ত্রী মানারা শিকরি পারভিন মুরাদ নামেও বেশ পরিচিত। তিনি ছিলেন একজন তালাকপ্রাপ্ত মহিলা এবং প্রথম স্বামীর ঘরে তার একাধিক সন্তান ছিল।

নাসির ও পারভিনের বিয়ের এক বছরের মধ্যেই তাদের ঘর আলো করে আসে একমাত্র সন্তান, তাদের কন্যা হিবা শাহ। কন্যার জন্মের এক বছরের মধ্যেই ঘর ভেঙে যায় পারভিন-নাসিরুদ্দীন দম্পতির। কিন্তু আগের বিয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে পারভিন যে পরিমাণ মোহর নাসিরের সঙ্গে বিয়ের সময় নির্ধারণ করেছিলেন তা পূরণ করে জীবন নতুন করে শুরু করতে অভিনেতা নাসিরের ১২ বছরের বেশি সময় লেগে যায়।

পারভিনের সঙ্গে সম্পর্কে যখন ভাঙনের সুর বেজে উঠেছিল, তখন ১৯৮০ সালে নাসির স্বনামধন্য অভিনেত্রী ডিনা পাঠকের মেয়ে রত্না পাঠকের প্রেমে মজেন। ১৯৮২ সালে নাসির ও রত্না বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এ দম্পতি এখন তাদের দুই ছেলে ইমাদ শাহ ও ভিভান শাহ এবং নাসির ও পারভিন দম্পতির মেয়ে হিবার সঙ্গে বোম্বেতে থাকেন। মেয়ে হিবা শাহ জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল অভিনেত্রী। ইমাদ অভিনয়ের পাশপাশি ভালো গাইতেও পারেন। আর ভিভান তো ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’,‘সাত খুন মাফ’, ‘বোম্বে ভেলবেট’র মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button