বিচিত্রতা

প্রিয়তমা, দুঃখিত… আজ রাতে সম্ভব না

প্রিয়তমা, দুঃখিত... আজ রাতে সম্ভব না

কাজের জন্য বাড়ি ছেড়ে যারা দূরে অবস্থান করেন, ছুটি পেলেই স্বজনদের কাছে ফেরার তাড়া থাকে তাদের। আবার অনেকেই সপ্তাহান্তে গিয়ে পরিবারের লোকদের সঙ্গে দেখা করে আসেন। তবে নিজের সঙ্গীনীকে ছেড়ে অন্যখানে চাকরি করা অবস্থায় কথা দিয়েও সপ্তাহান্তে দেখা করতে না পারলে কষ্ট তো লাগেই।

আর সেটা যদি হয় সৈনিকের চাকরি, কথা দিয়েও না ফিরলে অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকা সঙ্গীনীর আক্ষেপের শেষ থাকে না। সে রকম পরিস্থিতির শিকার হয়ে ৬৫ বছর আগে সঙ্গীনীকে কিছুটা আশ্বস্ত করার জন্য দরদমাখা চিঠি লেখেন এক ব্রিটিশ সেনা। সেই চিঠি পাওয়া গেছে দাতব্য সংস্থার এক দোকানে। সেই চিঠির লেখককে বর্তমানে খোঁজা হচ্ছে।

চিঠিটি লেখা হয়েছে ১০ অক্টোবর ১৯৫৩ সালে। সম্প্রতি ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের লন্সেস্টনের এক দোকানে চিঠিটি পাওয়া যায়।

জানা গেছে, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর প্রহরী জ্যাক চিঠিটি লিখেছিলেন তার প্রেমিকা জ্যাকুলিনের কাছে। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কেবল দুঃখ প্রকাশের জন্য চিঠিটা পাঠালাম। তবে কোনোভাবেই আজ রাতে সম্ভব নয়। কারণ আমি পাহারায় আছি।

তিনি আরো লিখেছেন, আজ সকালেই ছুটির চেষ্টা করেছি। তবে সেটা সম্ভব হয়নি। আমার আর মাত্র নয়দিন সাপ্তাহিক ছুটি আছে, সে কারণে এটা মন্দ নয়।

যুক্তরাজ্যের শহর বাড এ থাকা জ্যাকুলিনের কাছে জ্যাক আরো লিখেছেন, এখান থেকে যাওয়ার পর সপ্তাহান্তেই তোমার সঙ্গে নিয়মিত দেখা হবে। তোমাকে যেন সপ্তাহান্তে দেখতে পারি, সেটা নিশ্চিত করবো। এমনকি সপ্তাহের অন্যদিনও দেখা করার চেষ্টা করবো।

জ্যাক আবেগ মাখিয়ে আরো লিখেছেন, আজ রাতে যখন পাহারায় থাকবো, তখনো তোমার কথা অনেক মনে পড়বে। তোমাকে অনেক মিস করছি। কিন্তু কাল (রবিবার) রাতে অবশ্যই দেখা হবে ৭টা থেকে ৭টা ৩০ মিনিটের মধ্যে। মোটরসাইকেলে চড়ে আসবো আমি।

চিঠিটির নিচের জ্যাকের স্বাক্ষর রয়েছে। বর্তমানে জ্যাক আর জ্যাকুলিনকে খোঁজা হচ্ছে। লন্সেস্টনের ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের সেই দোকানের ব্যবস্থাপক তামারা চ্যাপম্যান বলেন, চিঠিটির লেখকের হাতে পুনরায় এটি তুলে দিতে চাই আমরা।

তিনি আরো বলেন, এটা একেবারেই অস্বাভাবিক যে, আমরা এই ধরনের সংবেদনশীল জিনিস পেয়েছি। তবে সম্ভব হলে অবশ্যই আমরা চিঠিটি সঠিক ব্যক্তির পরিবারের কাছে পৌঁছে দেব।

আরও পড়ুন ::

Back to top button