স্বাস্থ্য

সর্বদা স্লিম থাকার ৫টি গোপনসূত্র

সর্বদা স্লিম থাকার ৫টি গোপনসূত্র

ছোটবেলা থেকেই আমাদের থালার সব খাবার চেটেপুটে খাওয়ার শিক্ষা দিয়ে বড় করা হয়েছে। যুগ যুগ ধরে এই মনমানসিকতাই আমরা ধারণ করে আসছি। এই জিনিসটাই আমরা ছোটবেলা থেকে শিখি যে সবকিছু খেতে, সেটা খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ভালো হোক বা খারাপ! এই শিক্ষা থেকেই আসলে বেশি খাওয়ার প্রবণতা গড়ে ওঠে। অতিরিক্ত খাওয়া একটি ভয়াবহ সমস্যা। তবে আপনি চাইলেই খুব সহজে এতে ইতি টেনে দিতে পারেন।

বেশি খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখা একটু কঠিন হতে পারে, তবে কিছু অতি সহজ কৌশল রয়েছে যার সাহায্যে আপনি নিজের মস্তিষ্ককে ধোঁকা দিয়ে পারবেন এবং বেশি খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন। জেনে নিন সেই কৌশলগুলো।

ছোট ছোট চুমুক
পানি ছাড়া অন্য যেকোনো কিছু পান করার সময় ধীরে চুমুক দিন এবং ছোট ছোট চুমুক দিয়ে পান করুন। যখন একবারে অনেক বেশি তরল পান করা হয়, তখন আমাদের মস্তিষ্ক বুঝতে পারে না যে সে আসলে ঠিক কতটুকু পান করলো। এটা পানীয় বটে, কিন্তু এটাতে ক্যালরিও রয়েছে। যেমন কমলার রস, এনার্জি ড্রিংক বা যেকোনো সফট ড্রিংকস।

সুগন্ধিযুক্ত খাবার খান
ঘ্রাণসংক্রন্ত গ্রন্থিগুলো খাবারের রুচির ক্ষেত্রে বেশ বড় ভূমিকা রাখে। খাবারের সুবাস দ্রুত পেট ভরাতে সাহায্য করে। যেসব খাবারের গন্ধ তীব্র, তা অল্প খেলেই খাবার ইচ্ছা কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, ভ্যানিলার সুগন্ধিযুক্ত একটি কক্ষে কিছুক্ষণ থাকার পর কিছু মানুষকে ভ্যানিলা কাস্টার্ড খেতে দেওয়া হয়। যারা ইতিমধ্যেই ভ্যানিলার গন্ধ পেয়েছেন তারা অল্প পরিমাণে খান। মূলকথা হলো, যখন আপনি খাবার আগেই আপনার নাক খাবারের গন্ধ পেয়ে যাবে, আপনার পেট দ্রুত ভরে যাবে।

বিপরীতধর্মী রঙের ব্যবহার
আপনার খাবার এবং প্লেটের রং যদি কাছাকাছি হয় তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি কতটুকু খেয়েছেন। কিন্তু প্লেটের রং যদি খাবারের চেয়ে বিপরীতধর্মী হয় তাহলে সহজেই বুঝতে পারবেন। তাই খাবার এবং প্লেটের এই কৌশলটি প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।

ছোট প্লেটের ব্যবহার
বড় প্লেটে খাবার আঁটে বেশি। তাই বড় প্লেটে খাবার খেলে স্বাভাবিকভাবেই আমরা একটু বেশি খেয়ে ফেলি। ছোট প্লেটে খাবার কম ধরলেও তা দেখতে বেশি লাগে। তাই এই কৌশলও প্রয়োগ করতে পারেন।

আলো কমান, আওয়াজ কমান
গবেষণায় দেখা গেছে রেস্টুরেন্টের পরিবেশ মানুষকে বেশি খাওয়া থেকে বিরত রাখে। তাই বাড়িতেই রেস্টুরেন্টের পরিবেশ তৈরি করুন। খাবার খাওয়ার সময় যতটা সম্ভব আলো এবং আওয়াজ কম রাখুন। রেস্টুরেন্টের মতো মৃদু শব্দে মিউজিকও চালিয়ে রাখতে পারেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button