জীবন যাত্রা

স্বনির্ভর পেশায় ৫টি উপায়ে ধরে রাখুন মোটিভেশন

স্বনির্ভর পেশায় ৫টি উপায়ে ধরে রাখুন মোটিভেশন

আর নয় বসের অধীনে থাকা। এবার বাইরের পৃথিবীতে পা রাখার সময় আপনার। হোক সে পৃথিবী অনেক খারাপ, প্রতিযোগিতাপূর্ণ, কঠিন তবু নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে আপনাকে। স্বনির্ভরতা যখন আপনার সিদ্ধান্ত, তখন ঝুঁকি তো নিতেই হবে।

নেতৃত্ব নিজের হাতে নেওয়া নিঃসন্দেহে অনেক বড় দায়িত্ব নেওয়া। ভয় লাগাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেজন্য তো স্বপ্ন থেকে দূরে সরে যাওয়া যাবে না, তাই না? আত্মনির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানে নিজেকে মোটিভেশন দিতে হয় নিজেরই। আসুন জেনে নিই কীভাবে নিজেই নিজেকে মোটিভেটেড রাখতে পারবেন সারাক্ষণ।

নিজেকে জানুন
আপনার মাঝে লুকিয়ে আছে অসীম ক্ষমতা। সেই ক্ষমতাকে চিনুন। বাজারে এখন প্রতিযোগিতা তুঙ্গে। সবাই নিজের আলাদা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে আগ্রহী। খেয়াল করে দেখুন, মাঠে সবাই নামে। কিন্তু সবাই টিকে থাকতে পারে না। টিকে থাকার জন্য চাই ধৈর্য্য, কৌশলী মন।

আপনার যদি একজন দূর্দান্ত ব্যবসায়ী মানসিকতা থাকে তাহলে কোনভাবে যেন এর কম ব্যবহার না হয়। আবার যদি সেটা না থাকে তাহলে নিজেকে গড়ে তুলতে শ্রম দিতে হবে আপনার। আপনার আত্মবিশ্বাস আপনার নিজের ভেতর থেকেই আসবে। যখন আপনি নিজেকে চিনবেন আপনি জানবেন আপনাকে কি করতে হবে। তখন আপনাকে কেউ হারাতে পারবে না।

নিয়মানুবর্তিতা
একজন নেতার জন্য নিয়মের গন্ডিতে আসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি সব কাজ যত সময়মত করতে থাকবেন তত আপনার হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকবে। আপনার কোন কাজ জমে থাকবে না। এভাবে আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে বহুগুণে।

প্রতিদিন রাতে নিজের একটি রুটিন করুন। কিভাবে পরদিন কাজ করবেন, কখন কি করবেন ঠিক করুন। দিনশেষে যখন মিলিয়ে দেখবেন সব কাজ ঠিকমত করতে পেরেছেন তখন পরদিন কাজ করার স্পৃহা আরও বেড়ে যাবে। আর কারও কাছ থেকে নিজের শ্রমের স্বীকৃতির প্রয়োজন হবে না আপনার। আপনি নিজেই নিজেকে বলবেন ‘সাব্বাস’!

নিজেকে মনে করিয়ে দিন কেন কি করছেন
চাকরিজীবন থেকে স্বনির্ভরতার এই সংগ্রামে আপনি নিজেই নিজেকে নিয়ে এসেছেন। এখানে আপনার কোন বস নেই বলে আপনি যদি হালকা চালে চলা শুরু করেন তাহলে কিন্তু বিপদ! সময় পেরিয়ে যাবে, বছর শেষে আপনার মনে হবে কিছুই করা হল না। তখন মনে হবে, সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল।

আপনার সিদ্ধন্তটি খুবই সাহসী। কিন্তু একে সগল করতে হলে হতে হবে পরিশ্রমী। নিজেকে সারাক্ষণ মনে করিয়ে দিন আপনার উদ্দেশ্য, নিজেই নিজেকে সজাগ রাখুন। একটা টার্গেট ঠিক করুন। সেটা এমন জায়গায় লিখে রাখুন যাতে সবসময় চোখে পড়ে।

বড় হন
এই বড় হওয়া শরীরে বা বয়সে বা মননে নয়। সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হল নিজের যোগাযোগের গন্ডিকে বাড়ানো। আপনার নেটওয়ার্ক বড় করুন। নিজেকে ছড়িয়ে দিন অনেক মানুষের মাঝে। নিজের গল্প বলুন। অবশ্যই পজেটিভ গল্প যা অন্যকে উদ্বুদ্ধ করে। মানুষকে শুধু ব্যবসায়িক দিক থেকে আবেগের দিক থেকেও নিজের সাথে যুক্ত করুন।

বড় হন, পরিপক্ক হন। নিজেকে প্রকাশ করুন উজ্জ্বল করে, আপনার ব্যবসার ভবিষ্যতও উজ্জ্বল হবে।

উৎসাহব্যঞ্জক বই
নিজেকে সব সময় মোটিভেটেড রাখতে ভাল বই এর বিকল্প নেই। স্বনির্ভর মানুষের গল্প পড়ুন, তাদের বক্তব্য, জীবনদর্শন জানুন। দেখবেন, আপনার সাহস বেড়ে গেছে অনেক গুণে। ঝুঁকি নেবার মানসিক ক্ষমতাও বেড়ে গেছে।

সবচেয়ে বড় কথা, এসব বই আপনাকে জানাবে কিভাবে শূণ্য থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হয়! কিভাবে কিছু মানুষ আপনার চেয়ে খারাপ অবস্থায় থেকেও আজ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব পরিণত হয়েছেন। কিছু মোটিভেশনাল উক্তি লিখে রাখুন, যখনই দূর্বল বোধ করবেন পড়বেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button