অপরাধ

চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসে চরম সর্বনাশ গৃহবধূর

চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসে চরম সর্বনাশ গৃহবধূর

চিকিৎসার জন্য ভারতে এসে লাঞ্ছনার শিকার বাংলাদেশের এক বধূ। তাঁকে কুপ্রস্তাব দেওয়া ছাড়াও তাঁর পাসপোর্ট ও সোনার গয়না ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অশোকনগরে যে বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন তাঁরা, সেই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধেই অভিযোগের তির। মঙ্গলবার রাতে অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

দেড় মাস আগে খুলনার হেতালবনিয়া থেকে এ দেশে আসেন ওই বধূর পরিবার। স্বামী ও ছোট্ট মেয়ে ছাড়াও ওই বধূর সঙ্গে আসেন তাঁর শ্বশুর শাশুড়ি। অশোকনগর থানার গুমায় পনেরোশো টাকায় একটি ঘর ভাড়া নেন। সেখানে থেকেই কলকাতার হাসপাতালে এসে ডাক্তার দেখাচ্ছিলেন তাঁরা। বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছেন ওই বধূর শ্বশুর। তাঁর স্বামীর কাঁধে একটি টিউমার হয়েছে। বাচ্চাটিও অসুস্থ বলে জানা গেছে।

চিকিৎসার জন্য আরও টাকা দরকার হয়ে পড়ায় দিন কয়েক আগে টাকা আনতে বাংলাদেশে যান ওই বধূর স্বামী। থেকে যান পরিবারের অন্যরা। অভিযোগ, সেই সুযোগ নিয়েই ওই বধূকে কুপ্রস্তাব দেন বাড়িওয়ালা সমীর বিশ্বাস। তাতে তীব্র আপত্তি জানাতেই, মোটা অঙ্কের টাকা ধার নেওয়া হয়েছে এমন লেখা একটি কাগজে বধূকে দিয়ে জোর করে সই করিয়ে নেয় ওই ব্যক্তি। এরপর চারজনের পাসপোর্ট, একটি সোনার চেন ও মোবাইল ফোনও সে কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ।

বাংলাদেশে ফোন করে স্বামীকে সমস্ত ঘটনা জানালে সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসেন তিনি। এরপর প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে মঙ্গলবার রাতে এলাকার কিছু মানুষের সহযোগিতায় সমীরের বিরুদ্ধে অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বাংলাদেশ ওই পরিবারটি। তারপরেই সমীরকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button