পর্যটন

সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে ১২টি তথ্য যা আপনার মন কেড়ে নেবে

সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে ১২টি তথ্য যা আপনার মন কেড়ে নেবে

নানা ধরনের প্রশ্নের উত্থাপন এবং জবাব দেওয়া নিয়ে সবাই মেতে থাকেন সোশাল মিডিয়া ‘কুয়োরা’তে। সেখানে একটি প্রশ্ন ছিল, ‘সুইজারল্যান্ডের মন মাতানো ১২টি বিষয় কী কী হতে পারে?’ এর সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য জবাবগুলো দেখে নিন।

১. যদি রাতে তুষারপাত হয় তবে এক রাতেই বাড়ির ছাদ ও রাস্তায় বরফের স্তূপ জমে যায়। এসব রাস্তায় গাড়ি চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। তবে চিন্তার কিছু নেই। কারণ সকাল ৮টা নাগাদ দেশের সব রাস্তা পরিষ্কার করে ফেলে কর্তৃপক্ষ।

২. যদি ভবিষ্যতে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হয়, তবে মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে যে বাঙ্কার তৈরি হয়েছে সেখানে দেশটির সব মানুষ এঁটে যাবে।

৩. যুদ্ধাবস্থা বিবেচনা করে এখানকার রাস্তা এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে প্রয়োজনে রাস্তার বিভিন্ন স্তর এদিক ওদিক সরিয়ে প্রতিটি রাস্তাকে বিমানের রানওয়েতে পরিণত করা যাবে।

সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে ১২টি তথ্য যা আপনার মন কেড়ে নেবে

৪. সুইজারল্যান্ডের বিমানবাহিনীর পাইলটরা ট্রেনিংয়ের সময় কখনো সুপারসনিক গতিতে বিমান চালাতে পারেন না। কারণ, দেশটি এত ছোট যে এই গতিতে বিমান চালালে নিমিষেই তা অন্য দেশের আকাশে চলে যাবে। তবে সম্প্রতি তারা ফ্রান্সের আকাশ ব্যবহারের একটি চুক্তি করেছে।

৫. লুসানে শহরে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহের জন্য জনগণ যে ট্যাক্স দেয়, তা কমাতে এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে তাদের ময়লা ফেলার বিনকে উন্নত করা হয়েছে। এটি কিনতে হবে এবং কেনার সময়ই ট্যাক্স কেটে রাখা হবে। কাজেই আপনি যত বেশি বিন ব্যবহার করবেন তত বেশি ট্যাক্স দিতে হবে। আর বিন ব্যবহার না করে বাইরে ময়লা ফেললে বড় বিপদে পড়বেন।

৬. দেশের আকার ছোট হলেও এখানে চারটি অফিসিয়াল ভাষা রয়েছে। এগুলো হলো : জার্মান, ফ্রেঞ্চ, ইতালিয়ান এবং রোমান। সুইসরা যখন ইংরেজিতে কথা বলেন তখন তা বেশ মজার বিষয় হয়ে ওঠে। এদের জার্মান ভাষা প্রচলিত ক্ল্যাসিক জার্মান ভাষা থেকে ভিন্ন। একে বলা হয় ‘সুইস জার্মান’। তবে এই ভাষায় কিছু লেখা হয় না। কারণ লিখিত সুইস জার্মান কেউ বোঝেন না।

সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে ১২টি তথ্য যা আপনার মন কেড়ে নেবে

৭. এই দেশের চকোলেট নির্মাতারা এমন চকোলেট বানানোর চেষ্টায় রয়েছেন যাতে স্বর্ণ মিশ্রিত থাকবে। অর্থাৎ, খাওয়ার যোগ্য সোনা উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন তারা। তাদের দেশে চকোলেট কতটা অভিজাত হতে পারে?

৮. গোটা সুইজারল্যান্ডকে যদি বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা করা হয়, তবে তা বাটন দাবানোর মাধ্যমেই সম্ভব। কারণ, এ দেশে প্রবেশের প্রতিটি পথ ও টানেলের মুখে স্টিলের টিউব দেওয়া রয়েছে যা সুইচ টিপলেই বন্ধ হয়ে যাবে। যুদ্ধের সময় বিবেচনা করে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখানকার প্রতিটি ব্রিজে বোমের বক্স রয়েছে। রাস্তার প্রতিটি দিক নির্দেশকারী চিহ্ন সংবলিত সাইনবোর্ড একটি বোতামের চাপেই খুলে পড়ে যাবে।

৯. এ দেশের গাড়িগুলো সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। গাড়ি পরিষ্কার না থাকলে একটি মামলা খেতে পারেন আপনি।

১০. বহু প্রতিষ্ঠান এমন কর্মীদের নিয়োগ দেয় যার প্রয়োজন হয় না। তাদের সমাজ স্বল্প বেকারত্বের হারকে আরো কমিয়ে আনতে সচেতন।

১১. এ দেশের মানুষরা গণপরিবহন নিয়ে বেজায় সন্তুষ্ট। বাস, ট্রেন, নৌকা, ক্যাবল কার ইত্যাদির ব্যবহার দিয়ে মাত্র একটি টিকিট দিয়ে দেশের যেকোনো প্রান্তে পৌঁছে যেতে পারবেন। মাত্র ২০ মিনিট পর পর যেকোনো স্থানে ট্রেন পাবেন।

১২. দুই বছর ধরে বেকার থাকলে ভাতা দেয় সরকার। এটা অনন্য দৃষ্টান্ত হলেও এতে সংযুক্ত রয়েছে চিত্তবিনোদনের জন্য ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদির ভাতা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button