খেলা

তার কারণেই বদলে গেছেন স্টোকস

তার কারণেই বদলে গেছেন স্টোকস

এবারের ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলাটি বিশ্বমঞ্চে স্বরণীয় হয়ে থাকবে। এই শ্বাসরুদ্ধ ম্যাচটি দেখার সময় কোটি ক্রিকেট প্রেমির চোখ ছিল জয়ের নায়ক বেন স্টোকসের দিকে। অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করে ইংল্যাণ্ডকে ১ উইকেটের অকল্পনীয় জয় উপহার দেন তিনি।

তবে এই বেন স্টোকসই বিভিন্ন অপকর্মের কারণে সমালোচিত হওয়ার পাশাপাশি নিষিদ্ধও হয়েছিলেন। সেই বিতর্কিত জীবন পার করে রাতারাতি সুপারস্টার হওয়ার পেছনে স্ত্রী ক্লেয়ার রেটক্লিফকে সব কৃতিত্ব দিলেন ইংল্যাণ্ডের অলরাউন্ডার বেন স্টোকস।

বেন স্টোকস বলেন, ক্লেয়ার আমার প্রিয় বন্ধু। জীবনের সব চড়াই-উতরাইয়ের মুহূর্তে ওই আমার পাশে থেকেছে। বুঝিয়েছে। সঙ্গে পরিবারের অন্যরাও ছিলেন। তবে ক্লেয়ার আমার পাশে যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণই আমি ভালো থাকব।

আমার কাছে এর থেকে বড় কিছু নেই। ক্লেয়ার আর সন্তানদের খুব মিস করেন বিদেশ সফরে। ক্রিকেট আর ক্লেয়ার আমার জীবন। যে শিক্ষা পেয়েছি, কোনোও দিন ভুলব না।’

বেন স্টোকসের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ:
১. ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিস্টলে নাইটক্লাবের বাইরে একজনের ঘুষি মেরে চোখ ফাটিয়ে দেন। যে কারণে ৬ ম্যাচ নিষিদ্ধ হন।

২. কেটি প্রাইসের প্রতিবন্ধী ছেলে হার্ভেকে স্ন্যাপচ্যাটে বিদ্রূপ করায় দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি প্রায় ৩০ লাখ টাকা জরিমান দেন।

৩. টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন মদ খান? সাংবাদিকের এমন এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন ‘খাই’। কেন খান? ‘যথেষ্ট বড় হয়েছি। আমার বয়স ২৬ হল এখন তো আর ১৪ বছরে কিশোর নই। তাছাড়া ডিনারের পর তো আর ডায়েট কোক খেতে পারব না।’

এক রাতে কত পেগ মদ খেতে পারেন? ‘২০ পেগের পর মনে থাকে না।’

৪. গভীর রাতে রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা। যে কারণে জেলে যেতে হয় বেন স্টোকসকে।

৫. ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মদ্পান করে রাস্তায় মাতাল অবস্থায় ঘুরে বেড়ানোর অপরাধে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয় বেন স্টোকসকে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button