বিনোদন

ছিলেন নব্বই কেজি। ওজন কমিয়ে সোনাক্ষী হয়ে গেলেন ৬০ কেজি। কীভাবে?

ছিলেন নব্বই কেজি। ওজন কমিয়ে সোনাক্ষী হয়ে গেলেন ৬০ কেজি। কীভাবে?

নিন্দুকদের নখদাঁত তাঁকে ক্ষতবিক্ষত করছিল। নিজের চেহারা নিয়ে গঞ্জনা শুনতে ভাল লাগত না। তাই ঝটিতি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। যেমন ভাবনা তেমনই কাজ। মেদবহুল শরীর ঝরিয়ে হয়ে গেলেন তন্বী। দ্রুত মেদ ঝরিয়ে আরও সুন্দরী হওয়ার রহস্য কী? সোনাক্ষী সিনহা নিজেই সেই রহস্য ফাঁস করছেন।

বলিউডে পা রেখেই বাজিমাত করেছিলেন সোনাক্ষী। সাবলীল তাঁর অভিনয়। তাঁর সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। কিন্তু সমস্যা তো ছিল অন্য জায়গায়। সোনাক্ষীর অতিরিক্ত ওজন নিয়ে সমালোচকরা বাঁকা কথা শোনাতে শুরু করেন। আর সেই সব শুনতে শুনতেই সোনাক্ষী স্থির করে ফেলেন, বদলে ফেলবেন নিজেকে। এগিয়ে আসেন সলমন খানও।

বলিউডে পা দেওয়ার সময় সোনাক্ষীর ওজন ছিল নব্বই কেজি। দবাংয়ের শ্যুটিং চলাকালীন তিরিশ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফেলেন। হয়ে যান ৬০ কেজি। অবশ্য এর জন্য প্রচুর খাটাখাটনি করতে হয়েছিল সোনাক্ষীকে। চেহারা ধরে রাখার জন্য এখনও দু’ বার জিমে যান তিনি। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান। সোনাক্ষীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি নিন্দুকদের অপ্রয়োজনীয় মতামতকে গুরুত্ব দিই না। ওজন বেশি হওয়ায় স্কুলে আমাকে সবাই ব্যঙ্গবিদ্রুপ করত।’

ছিলেন নব্বই কেজি। ওজন কমিয়ে সোনাক্ষী হয়ে গেলেন ৬০ কেজি। কীভাবে?

২০১০-এ ‘দবাং’ ছবি দিয়েই বলিউডে অভিষেক হয়েছিল সোনাক্ষীর। পরবর্তীকালে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘ষোলো বছর বয়সে সিঁড়ি ভাঙতে গেলে কষ্ট হত।’ শরীর ভারী হলে সমস্যায় পড়তে হয়। নষ্ট হয়ে যায় নমনীয়তা। সোনাক্ষী দ্রুত তা উপলব্ধি করেন। ‘দবাং’ ছবির শ্যুটিং শুরুর আগে সলমন খানের উৎসাহে ওজন কমানোর দিকে নজর দেন সোনাক্ষী। সেই সময়েই ৩০ কেজি ওজন কমান ‘ফোর্স ২’ এর অভিনেত্রী। সোনাক্ষীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘সলমন আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে। আমি নিয়মিত জিমে যাই কিনা সেই খোঁজও নিত সলমন।’

সোনাক্ষী সম্পর্কে শোনা যায়, তিনি নাকি পেটুক ছিলেন। দ্রুত ওজন কমানোর জন্য খাদ্যতালিকা থেকে ছেঁটে ফেলে দিয়েছেন বহু খাবার। জিমে যাওয়া অপছন্দের হলেও ঘণ্টা দুয়েক জিমে ঘাম ঝরান সোনাক্ষী। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে নিজেকে ফিট রেখেছেন এই অভিনেত্রী। বিখ্যাত ফিটনেস প্রশিক্ষক ইয়াসমিন করাচিওয়ালার তত্ত্বাবধানেও ছিলেন সোনাক্ষী। তাঁর সকাল ও দুপুরের খাবারের তালিকায় রয়েছে তাজা ফল, সবজি ও ডাল। মাছ, মুরগির মাংস, ডিমের সাদা অংশ থাকে রাতের খাদ্যতালিকায়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button