জীবন যাত্রা

এই সঙ্গীই কি আপনার জন্য পারফেক্ট? ৬ পয়েন্টে বুঝুন

এই সঙ্গীই কি আপনার জন্য পারফেক্ট? ৬ পয়েন্টে বুঝুন

প্রেম হোক বা বিয়ে, চলার পথে সঠিক সঙ্গী থাকলে জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়। ছোট কোনও বিষয়েও একটু খুশি একটু আনন্দ ভাগ করে নেওয়া যায়। কিন্তু যদি সঙ্গী নির্বাচনে ভুল হয়, তা হলে সামান্য পথ চলতেই জীবন জেরবার। যাঁরা সত্যিই নিজেদের ‘সোলমেট’ খুঁজে পান, তাঁদের তো কথাই নেই। কিন্তু যাঁরা পান না, বা ভুল সঙ্গী নির্বাচন করে ফেলেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা খুবই তিক্ত হয়ে ওঠে জীবন সম্পর্কে।

অনেকেরই এমন অভিজ্ঞতা হয়। কিন্তু তখন হয় বেরিয়ে আসার পথ থাকে না বা এই জীবনেই অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন। যদি সত্যিই ভুল সঙ্গীর পাল্লায় পড়েন তা হলে কতগুলি বিষয় প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকবে। সেটাই আপনাকে জানান দেবে আপনি ভুল মানুষের সঙ্গে ঘর করছেন বা করতে চলেছেন। দেখে নিন কী কী সেই বিষয়।

১) সামান্য কারণে ঝগড়া, রাগারাগি:
অল্পবিস্তর ঝগড়া বা মনোমালিন্য না হলে সেটা স্থায়ী সম্পর্ক হতেই পারে না। এটা সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব ভালো। নিজেদের আরও ভালো করে চিনতে এগুলো সাহায্য করে এবং নেগেটিভিটি থাকলে তাও বেরিয়ে আসে। কিন্তু এটা যদি প্রতি দিন নিয়ম করে হতে থাকে, তা হলে সমস্যা আছে ধরে নিতে হবে। জীবনে খারাপ-ভালো সময় উভয়ই আসবে। কিন্তু মনের মানুষের সঙ্গে খুব কষ্টের মুহূর্তেও মুখে এক চিলতে হাসি লেগে থাকবে। বা বলা ভালো তিনিই আপনার মুখে হাসি ফোটাবেন। কিন্তু ভুল সঙ্গীর সঙ্গে ঘর করলে অত্যন্ত সুখের সময়েও বিরক্তি আসবে। সব কিছু একঘেয়ে মনে হবে।

২) সব সময় একটা অভাব বোধ:
ভরা সংসারেও একটা কিছুর অভাব বোধ করবেন সব সময়। সে আপনার সঙ্গী যদি রোজ ফুল দিয়ে আপনাকে স্নান করায় তা হলেও। আসলে অভাব কোনও কিছুরই থাকে না, এটা সম্পূর্ণ মানসিক। মনই আপনাকে জানিয়ে দেবে, ঠিক জমছে না।

৩) না বুঝে ক্রমাগত দূরে ঠেলা:
কথাবার্তা বা কাজে সব সময় একে অপরকে দূরে ঠেলে দেওয়ার প্রবণতা জন্মাবে। সচেতন ভাবে করার দরকার পড়বে না, সম্পূর্ণ অসচেতনভাবেই একে অপরকে জাস্ট সহ্য করতে পারবেন না।

৪) এই বোধহয় ভুল করলাম:
সব সময় একটা ভয় কাজ করবে। এই বোধহয় কিছু একটা ভুল হল। পান থেকে চুন খসলেই বাড়ি মাথায়। এটা অবশ্য এক পক্ষের চাপেই বেশি হয়। ফলে দ্বিতীয় জন সব সময় গুটিয়ে থাকেন। একটা সুস্থ সম্পর্কে কখনও এমনটা হবে না। একে অপরকে পূরণ করতে পারবেন বলেই তো সংসার করা বা করার অঙ্গীকার করা। তা হলে ভুলের এত ভয় কেন থাকবে! দোষ-গুণ নিয়েই তো একে অপরকে গ্রহণ করবেন।

৫) নিজের জন্যই সময় নেই:
বিয়ে বা প্রেম করার আগে নিজের জন্য যা যা করতেন, সে সব চুলোয় গেছে। সকালের জগিং হোক বা রাতে বই পড়ার অভ্যাস— সব ত্যাগ করতে হয়েছে। সব সময় ক্লান্ত মনে হবে আর ঘরকুনো হয়ে উঠবেন। এর প্রধান কারণ আপনার মাথার মধ্যে ক্রমাগত একটা যুদ্ধ চলবে, সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন এবং ভাবতে বাধ্য হবেন, যেটা করছেন তা হয়তো ভুল ছিল।

৬) বাঁচতে হয়, তাই বাঁচা:
কোনও প্যাশন নেই, কোনও তাগিদ নেই। শুধু নিঃশ্বাস নিয়ে চলেছেন কারণ বেঁচে থাকতে হবে। কোনও সুস্থ সম্পর্কে এমন মনোভাব কখনও আসবে না। কারণ সুস্থ সম্পর্কে একে অপরকে জীবনের নানা ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করবেন এবং সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেবেন। এটা না হলে বুঝবেন ভুল মানুষের সহ্গে বাস করছেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button