বিচিত্রতা

প্রেমিকার রাগ ভাঙাতে ৩০০ ট্রাফিক সিগনালে ‘সরি’

প্রেমিকার রাগ ভাঙাতে ৩০০ ট্রাফিক সিগনালে ‘সরি’

‘এভরিথিং ইজ ফেয়ার ইন লাভ অ্যান্ড ওয়ার’। আর সেই প্রেমেরই বোধহয় চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনে শহরের এক যুবক।

গার্লফ্রেন্ড রাগ করলে তার রাগ ভাঙাতে কতকিছুই না করেন প্রেমিক। নানা ধরনের উপহার, সারপ্রাইজ ডিনার কিংবা লং ড্রাইভে নিয়ে গিয়ে বান্ধবীর মেজাজ ঠিক করার নানা চেষ্টাই করে থাকেন বয়ফ্রেন্ড। কিন্তু মহারাষ্ট্রের পিমপ্রি চিঞ্চওয়াড সাক্ষী থাকল এক্কেবারে অন্যরকম দৃশ্যের।

এমনটাও যে কোনও প্রেমিক করতে পারেন, তা হয়তো চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করা যায় না। হিন্দি ছবির চিত্রনাট্যকেও হার মানায় এই প্রেমিকের কীর্তি। প্রেমিকের কাণ্ডকারখানায় গার্লফ্রেন্ডের মন গলল কিনা, জানা যায়নি। তবে পুলিশের বিরাগভাজন হতে হল যুবককে।

তা প্রেমে পাগল যুবক কী করলেন? রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নিশ্চয়ই দু’পাশে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং চোখে পড়ে। ঠিক তেমনই পুণের কাছে পিম্পল সৌদাগর এলাকায় রাস্তার মাঝে ৩০০টি ব্যানার এবং হোর্ডিং টাঙিয়ে ফেলেন ওই যুবক।

যেখানে প্রেমিকার উদ্দেশে লেখা, ‘আই অ্যাম সরি’। সঙ্গে একটি লাল রঙের হার্টও আঁকা রয়েছে সেখানে।

গত শুক্রবার রাস্তায় বেরিয়ে এমন হোর্ডিং দেখে বেশ হতবাকই হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রথমে বুঝেই উঠতে পারছিলেন না, এ কীসের বিজ্ঞাপন। পরে অবশ্য গোটা ঘটনা বোধগম্য হয় সকলের।

স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করলেও পুলিশের নজরে আসতেই বিপাকে পড়েন ২৫ বছরের ব্যবসায়ী যুবক। বেআইনিভাবে হোর্ডিং টাঙানো এবং সাধারণের সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগে যুবকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে জানায় পুলিশ।

ওয়াকাড় থানার এক কর্মকর্তা বলেন, শনিবারই এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হোর্ডিং তৈরিতে সাহায্যকারী বন্ধু বিলাস শিন্ডের সূত্র ধরেই খুঁজে বের করা হয় যুবককে। তার নাম খেড়েকর বলে জানা গেছে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে যুবক জানায়, বান্ধবীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। রাগ ভাঙাতে অভিনব কিছু করতে চেয়েছিলেন তিনি। আর তখনই এভাবে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার কথা মাথায় আসে তার। যে রাস্তা দিয়ে তার গার্লফ্রেন্ডের মুম্বাই থেকে ফেরার কথা ছিল, সেই পথেই হোর্ডিং টাঙানোর ব্যবস্থা করেছিলেন।

পুলিশের চোখ রাঙানির মুখে পড়তে হলেও অনেক যুবতীরই কিন্তু ওই প্রেমিকার প্রতি হিংসে হতে পারে। ভাগ্য করে বয়ফ্রেন্ড পেয়েছে বটে।

সূত্র: পূর্বপশ্চিম

আরও পড়ুন ::

Back to top button