স্বাস্থ্য

মেধা বিকাশে অত্যন্ত সহায়ক যে ৭টি খাবার, যা খেতে হবে প্রতিদিন

মেধা বিকাশে অত্যন্ত সহায়ক যে ৭টি খাবার, যা খেতে হবে প্রতিদিন

মেধা ও বুদ্ধি বিকাশের জন্য প্রত্যেকরই ছোটবেলা থেকেই সচেতন হওয়া উচিৎ। মস্তিষ্ককে সক্রিয় এবং সতেজ রাখতে পারলে মেধা ও বুদ্ধি বিকাশ ত্বরান্বিত হয়। এবং অনেক বেশি উন্নতি হয় বুদ্ধিমত্তার। আর এই মেধা ও বুদ্ধি বিকাশের জন্য আমাদের দরকার পরিমিত এবং পর্যাপ্ত পুষ্টির। মেধা ও বুদ্ধি বিকাশে সহায়ক এই সকল পুষ্টি আমরা খাদ্য থেকেই পেয়ে থাকি।

আমাদের খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমেই আমরা পেতে পারি উন্নত মেধা ও বুদ্ধিমত্তা। এমন অনেক খাবার রয়েছে যা মেধা ও বুদ্ধিমত্তা নষ্ট করে, আবার এমন অনেক খাবার রয়েছে যা মেধা ও বুদ্ধি বিকাশে সহায়তা করে। আমাদের সতর্কতার সাথে আমাদের খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে সেই সকল খাবার যা মেধা বিকাশে সহায়ক। এবং বাদ দিতে হবে যা বুদ্ধিমত্তা নষ্ট করতে সক্ষম। আজকে চলুন দেখে নেয়া যাক মেধা বিকাশে সহায়ক কিছু খাবার যা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা অত্যন্ত জরুরী।

মেধা বিকাশে অত্যন্ত সহায়ক যে ৭টি খাবার, যা খেতে হবে প্রতিদিনগ্রীন টী
গ্রীন টী বরাবরই একটি উদ্দীপক পানীয় হিসেবে পান ককরে থাকি আমরা। কিন্তু এটি আমাদের মেধা বিকাশে অনেক বেশি সহায়তা করে। গ্রীন টী মস্তিষ্ককে সতেজ ও কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও গ্রীন টীয়ের পলিফেনল আমাদের মস্তিষ্কে ইতিবাচক মনোভাবের তৈরি করে এবং নেতিবাচক মনোভাব দূর করে আত্মবিশ্বাসী হতে সহায়তা করে।

ডিম
গবেষনায় দেখা যায়, যারা প্রতিদিন অন্তত একটি ডিম খান তাদের স্মৃতিশক্তি অন্যান্যদের তুলনায় অন্তুত ৭০% বেশি ভালো থাকে। ডিমের কুসুমে থাকে ক্লোরিন যা মস্তিস্কে নতুন নিউরনের সৃষ্টি করে যা মস্তিষ্ককে সুস্থ এবং কর্মক্ষম রাখে। এটি চিন্তা শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা বাড়ায়।

ডার্ক চকলেট
অভিভাবক সাধারনত বাচ্চাদের চকলেট খাওয়া নিয়ে চিন্তিত থাকেন। কিন্তু চকলেটের মধ্যে ডার্ক চকলেট মেধা ও বুদ্ধি বিকাশে অনেক বেশি সহায়তা করে। ডার্ক চকোলেট যেগুলোতে ৭০% কোকো থাকে সেগুলো মস্তিস্কের জন্য অনেক বেশি ভালো। এটি মনোযোগ বাড়ায় এবং মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে। তাই প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে ডার্ক চকলেট রাখুন খাদ্য তালিকায়।

মেধা বিকাশে অত্যন্ত সহায়ক যে ৭টি খাবার, যা খেতে হবে প্রতিদিনবাদাম
বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে, চিন্তা শক্তি বাড়ায় এবং যৌক্তিক গুণ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, চীনাবাদাম যে কোন ধরণের বাদামই আপনি রাখতে পারেন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। এবং বাদাম খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো রাতে ঘুমানোর আগে অথবা সকালের নাস্তায়।

বীজ জাতীয় খাবার
বীজ জাতীয় খাবার যেমন তিল বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, শিমের বীচি এবং মিষ্টিকুমরোর বীচি মস্তিষ্কের জন্য দারুন ভালো। এই সকল খাবারে আছে প্রচুর পরিমাণে জিংক যা চিন্তাশক্তি, স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধিমত্তা বাড়ায়।

ডালিম ও বেদানা
ডালিম ও বেদানা আমাদের দেহে রক্তের স্বল্পতা কমায়। এতে করে মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালন হয়। ফলে মস্তিষ্ক সথিকভাবে কাজ করতে পারে। এছাড়াও ডালিম ও বেদানায় রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান যা স্মৃতিশক্তি নষ্ট হওয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী।

তেলযুক্ত মাছ এবং মাছের তেল
মাছের তেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। এই ধরনের যৌগিক উপাদান অন্য খাবারে পাওয়া সম্ভব নয়। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে অনেক বেশি সহায়তা করে। তাই বয়স এবং দেহের গঠন অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন খাদ্যতালিকায় রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button