স্বাস্থ্য

৭ ‘কুকর্ম’ যা আপনার কানের ১২টা বাজাচ্ছে

৭ ‘কুকর্ম’ যা আপনার কানের ১২টা বাজাচ্ছে

কানে হেডফোন গুঁজে, গান শুনতে শুনতে রাস্তায় চলাচল করাটা এখন একটা ‘ফ্যাশন’। সাবধানবাণী কারওর কানে গিয়ে পৌঁছায় না। ফলে ঘটে যায় নানা দুর্ঘটনা।

মানবশরীরের অন্যতম প্রধান অঙ্গ হল কান বা কর্ণ। শুধু শোনার কাজই নয়, শরীরে ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে দুই কানের উপর। এছাড়া শরীরে তাপমাত্রার হ্রাস-বৃদ্ধি হয় কানের মধ্যে দিয়েও। তাই খুব সাবধানেই এই গুরত্বপূর্ণ অঙ্গের পরিচর্চা করতে হয়। যেটা আমরা মোটেই করে থাকি না!

১. কানের মধ্যে থাকে অসংখ্য রোম। যা বাইরের ধুলো-ময়লা থেকে কানকে রক্ষা করে। এগুলি আমরা অনেক ছোট্টবেলায় বইয়ের পাতায় পড়েছি। বিজ্ঞানীদের কথায়, আইপড বা হেডফোন থেকে আসা শব্দতরঙ্গের ফলে কানের মধ্যে থাকা রোমগুলি ঝড়ে যায়। নতুন করে সেই সূক্ষ্ম রোমগুলি আর গজায় না। শুধু ফুল ভলিউমে গান শোনাই নয়, যে সব এলাকায় গাড়ির সংখ্যা বেশি, মেশিনপত্রের আওয়াজের মধ্যে যারা কাজ করেন, সঙ্গীত জগতে যুক্ত ব্যক্তিদের কানের মধ্যেকার লোমের সংখ্যা খুবই কম।

২.কানের মধ্যে অনেক রক্তজালিকা থাকে। যা ফুলকপির মতো দেখতে লাগে। ডাক্তারদের মতে, র্যাপিড ট্রিটমেন্ট করালে নাকি কানের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন খুব ভালো হয়। তাতে শ্রবণশক্তিও বৃদ্ধি পায়।

৩. কানে সংক্রামক হলে নিজে থেকে কোনোরকম ডাক্তারি করবেন না। সরাসরি চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। কানের ভিতরেই নয়, কানের দুল থেকেও সংক্রামক হতে পারে তরুণাস্থিতে।

৪. কানের বাইরের অংশটি খুব ছোট ও নরম হার দিয়ে তৈরি। যেকোনো একটি হার ভেঙে গেলে বা সেখানে চোট লাগলে শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কানের ফুটোয় ময়লা জমে সুরসুর করলেই তৎক্ষণাৎ তুলার কাঠি দিয়ে পরিষ্কারের তালে থাকি আমরা। অনেকসময় অজান্তেই ঘটে যায় সূক্ষ্ম দুর্ঘটনা। আরামের খোঁচায় ফেটে যায় কানের পর্দা, রক্ত বের হওয়া, সংক্রামিত হয়ে যাওয়া প্রভৃতি। তাই আঙ্গুল, টুথপিক, সেপটিপিন, গাড়ির চাবি বা তার কখনোই কানে ঢোকানো উচিত নয়।

৫. বেশি মাত্রায় স্টেরয়েড নিলে কানে প্রচণ্ড যন্ত্রণা শুরু হয়। এছাড়া সংক্রামিত হয়ে কানে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে কালা হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায়।

৬. ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে কখনোই কোনো ইয়ারড্রপস ব্য়বহার করবেন না। অনেকেরই এই ধরনের অভ্যেস রয়েছে। কানে ব্যাথা হলে বা সংক্রমন হলে নিজের বুদ্ধিতে ইয়ারড্রপস দিয়ে দেন। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

৭. ডুবুরি, স্কাইড্রাইভারদের কানের লতি নষ্ট হয়ে যায় দ্রুত। কারণ, শরীরের তুলনায় বেশি চাপযুক্ত এলাকায় কান ঠিকমতো ভারসাম্য রাখতে পারে না। দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে আসার ৩০ মিনিট পরও আপনি শুনতে পাচ্ছেন হুসস হুসস করে গাড়ি চলে যাচ্ছে কানের পাশ দিয়ে। এমন অবস্থাকে বারোট্রমো বলে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button