স্বাস্থ্য

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা

শহুরে জীবনে ব্যস্ততা সঙ্গী করে চলতে গিয়ে খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে বাধ্য হন নগরবাসী। সময় বাঁচাতে কোনোরকম মুখে কিছু গুজে দিয়েই ছুটতে হয় কাজে। ফলে তালিকায় রান্না করা খাদ্যের পরিবর্তে প্রাধান্য পায় রেডি ফুড।

সুষম খাবারতো নয়ই, প্রয়োজনের বাড়তি শর্করা গ্রহণে শরীরে জমা হতে থাকে অতিরিক্ত মেদ। আর অল্পবয়সেই শরীরে বাসা বাঁধতে থাকে ডায়াবেটিসের মতো রোগ।

একটু সচেতনতাই এ রোগটি থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে। বাইরের প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিয়ে সে জায়গায় রাখতে পারেন দেশীয় ফল। সম্প্রতি এক গবেষণায় এসেছে দেহে শর্করা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে পেয়ারা।

পেয়ারার পাঁচটি উপকারী দিক যা আপনাকে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।

১. হালকা সবুজ রঙের পেয়ারা মানবদেহের অভ্যন্তরেই চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে শরীর বাড়তি শর্করা গ্রহণে অনীহা তৈরি হয়।

২. ভিটামিন-সি এর উৎস বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে কমলালেবু। আপনি শুনলে অবাক হবেন, একটি মাঝারি সাইজের পেয়ারায় যে পরিমাণ ভিটামিন-সি আছে তা পেতে হলে আপনাকে কমপক্ষে চারটি কমলালেবু খেতে হবে।

৩. মেদ বা ওজন কমাতে বেশি বেশি ফাইবারযুক্ত বা অধিক তন্তুযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। আপনি নির্দ্বিধায় আপনার খাদ্য তালিকায় পেয়ারা রাখতে পারেন। প্রয়োজনে সালাদ হিসেবে খেতে পারেন পেয়ারা।

৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বেশি পরিমাণে পটাশিয়ামযুক্ত খাদ্য খেতে বলা হয়। তবে তালিকায় সোডিয়ামযুক্ত খাবার না রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিশারদরা। এদিক থেকে পেয়ারা সর্বোৎকৃষ্ট ফল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

৫. ১০০ গ্রাম পেয়ারায় মাত্র ৮ দশমিক ৯২ গ্রাম চিনি থাকে। তাই ওজন কমাতে চাইলে আপনি বিকেলের খাবারে ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে যোগ করে ফেলুন দু’টি পেয়ারা। ভিন্নতা আনতে খেতে পারেন পেয়ারার জুস।

পেয়ারা বাংলাদেশে খুবই পরিচিত একটি ফল। যেকোনো সুপারশপ অথবা কাঁচাবাজারে অল্প টাকায় কিনতে পাওয়া যায় ফলটি। ওজন কমাতে বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সুষম খাদ্যতালিকায় পেয়ারা রাখতে পারেন।

তবে একদম খালিপেটে পেয়ারা না খাওয়াই ভালো বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button