জীবন যাত্রা

দূর করুন নিজের অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতা, কমান কষ্ট

দূর করুন নিজের অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতা, কমান কষ্ট

যেসব মানুষ আবেগপ্রবণ হন তারা জীবনে অনেক বেশিমাত্রায় কষ্ট ভোগ করে থাকেন। আবেগপ্রবণ মানুষ যে কারো ওপর বেশি মাত্রায় বিশ্বাস করে ফেলেন খুব সহজেই। যখন এই বিশ্বাস ভাঙে তখন বিশ্বাসভাঙার কষ্টটা শুধুমাত্র আবেগপ্রবণ মানুষটিই ভোগ করে থাকেন। আবেগ মানুষের ভেতরের পবিত্রতা প্রকাশ করলেও এটি আসলে জীবনযাপনের জন্য বেশ ক্ষতিকর একটি অনুভূতি। আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেকে অনেক ভুল করে ফেলেন যার ফলে পরবর্তীতে অনেক পস্তাতে হয়।

আবেগ থাকা ভালো, কিন্তু বেশি মাত্রায় আবেগ থাকা এবং আবেগ প্রকাশ করা ভালো নয়। কারো সামনে আবেগ প্রকাশ করার অর্থ হলো অন্য একজন মানুষের কাছে নিজেকে ধ্বংস করে দেয়ার অস্ত্র দিয়ে দেয়া। মাত্রাতিরিক্ত আবেগের কারণে বিষণ্ণতা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন অনেকে। কিন্তু নিজেকে তিলে তিলে বিষণ্ণতার দিকে ঠেলে দেয়াই সমাধান নয়। আবেগ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। জানতে হবে নিজের আবেগটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়। তাহলেই জীবনকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনা সম্ভব।

নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন
বেশি আবেগপ্রবণ মানুষ আত্মবিশ্বাসী হতে পারেন না। তাই সব চাইতে প্রথমে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিন। এতে আবেগের মাত্রা কমে আসবে। স্বার্থপর হতে বলা হচ্ছে না, শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছেটাকে সামান্য গুরুত্ব দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। এতে করে নিজের প্রতি বিশ্বাস ফিরে পাবেন। আবেগ নিয়ন্ত্রণে আনতে শিখুন।

স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান বেশি হলে…

নিজেকে চিনুন
নিজেকে বুঝুন। চিন্তা করে বের করুন আপনি কোন জায়গায় সব চাইতে বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। কোন মানুষটি আপনার আবেগপ্রবনতার কারণ কিংবা কোন কাজটি আপনাকে বেশি মাত্রায় আবেগী করে তোলে। আগে নিজের আবেগপ্রবনতার কারণটি খুঁজে বের করুন। যদি সম্ভব হয়ে কারণটিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার অতিরিক্ত আবেগ কমে আসবে। দুঃখ কম পাবেন।

নিজেকে সময় দিন
অনেকক্ষেত্রে সময় মনের ক্ষত পূরণ করতে সহায়তা করে। তেমনই নিজেকে সময় দিন আবেগটাকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। এতে করে আপনার নিজের মন ঠিকই খুঁজে নেবে আপনার কষ্টের কারণ এবং নিয়ন্ত্রণে আনবে আপনার আবেগ।

যে ৭টি কারণে সকাল বেলাতেই বিগড়ে যেতে পারে আপনার মেজাজ!

‘না’ বলা শিখুন
আবেগপ্রবণ মানুষের সব চাইতে বড় সমস্যা তারা সহজে কাউকে না বলতে পারেন না। ‘অনুরোধে ঢেঁকী গেলা’ প্রবাদ মুলত আবেগপ্রবণ মানুষের জন্যই তৈরি হয়েছে। একারনে অনেকে আবেগপ্রবণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে নিজের কাজ উদ্ধার করে নেয়। তাই সবার প্রথমে না বলা শিখুন যত কষ্টই হোক না কেন। এতে করে অযথা কোন ঝামেলায় পরে আবেগী হয়ে ভুল করার প্রবণতা কমবে।

আপনার জন্য ক্ষতিকর মানুষগুলোকে জীবন থেকে চলে যেতে দিন
আবেগপ্রবণ মানুষের প্রধান সমস্যা তারা যতই কারো কাছ থেকে কষ্ট পাক না কেন তাদের জীবন থেকে চলে যাওয়া সহ্য করতে পারেন না। অনেক ক্ষেত্রে তাদের ভুলকে ক্ষমা করে আবার নতুন করে ভুল করে বসেন। এই কাজটি কখনো করবেন না। এতে আপনি নিজের আবেগপ্রবনতাকে কখনো অতিক্রম করতে পারবেন না। নিজের জন্য ক্ষতিকর এই সকল মানুষের ভুল চাইলে ক্ষমা করতে পারেন কিন্তু পরবর্তীতে তাদেরকে আগের মত গুরুত্ব দেবেন না। এতে আপনি শান্তিতে থাকতে পারবেন। আবেগটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

মিথ্যা ধরার ১০ উপায়

আরও পড়ুন ::

Back to top button