বিচিত্রতা

নারী হয়েও মুখ ভরা দাড়ি নিয়ে যিনি খুশি !

নারী হয়েও মুখ ভরা দাড়ি নিয়ে যিনি খুশি !

তাঁর অপরাধ নারী হয়েও মাথায় প্রচুর চুল, আর মুখ ভরা দাড়ি। আর এতেই আশপাশের লোকেরা পেছনে লেগে তাঁর জীবনটা অতিষ্ঠ করে তুলেছিল।

শিখ নারী হারনাম কাউর পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত। আর এ কারণেই সেভ, ওয়াক্স ও ব্লিচ করার সব চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁর চুলের বৃদ্ধি বেশ আর সেগুলো বেশ ঘনও।

এখন হারনাম প্রাইমারি স্কুলে পড়ান। অতিরিক্ত চুল নিয়ে যন্ত্রণার হাত থেকে বাঁচতে তিনি শিখ ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এ ধর্মে চুল কাটা নিষিদ্ধ।

হারনাম বলেন, আমার পেছনে তাকাবার সুযোগ নেই। নিজের দাড়ি সরিয়ে ফেলারও তাড়া নেই। কেননা ঈশ্বর আমাকে এভাবেই সৃষ্টি করেছেন। আর এ নিয়ে আমি সুখী। এটা নিয়েই আমি আবেদনময়ী নারী। আমি নিজেকে ভালোবাসি। কোনো কিছুই আমাকে আর টলাতে পারবে না।

খুব ছোট বেলা থেকেই শুরু হয়েছিল চুল নিয়ে হারনামের দুর্ভোগ। সহপাঠীরা তাঁকে নারীরূপী পুরুষ, শিমেল, শিমেন ইত্যাদি বলে খেপাত। ফলে ছোটবেলা থেকে তিনি সেভ করা শুরু করেন। পোশাক দিয়ে ঢেকে রাখতেন নিজেকে। তিনি বলেন, লোকের সঙ্গে মিশতে আমার সঙ্কোচ হতো। তাই নিজেকে ঘরবন্দি করে রাখতাম। বেঁচে থাকতে চাইতাম না।

ধর্মপরিবর্তনের সিদ্ধান্ত তাঁর পরিবার ভালোভাবে নেয়নি। তাঁর মা-বাবা ভাবতেন হারনাম কখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন না। তাঁর বিয়েও হবে না, চাকরিও হবে না। কিন্তু হারনাম নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়েছেন। তিনি চেয়েছিলেন জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিটাই পরিবর্তিত করে ফেলতে।

এখন অনেক ভালো আছেন পশ্চিম লন্ডনের ব্রেকশায়ারের অধিবাসী হারনাম কাউর। তবে এখনো জীবনসঙ্গী খুঁজে পাননি। তবে তিনি আশাবাদী। চলছেন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button