জানা-অজানা

সেনাবাহিনী ছাড়াই চলছে যেসব দেশ

সেনাবাহিনী ছাড়াই চলছে যেসব দেশ

বর্তমান বিশ্বে ছোট বড় সব দেশই সামরিক শক্তি প্রদর্শন করতে ভালোবাসে। যেই দেশের সেনাবাহিনী যত বড়, অস্ত্র শস্ত্রে যত বেশি সমৃদ্ধ, সেই দেশ তত বেশি শক্তিশালী। প্রতিটি দেশই জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজে তাদের এই অস্ত্রের ভাণ্ডার প্রদর্শন করে। শত্রুকে জানিয়ে দেয় যে, ‘আমাদের সমঝে চলো, একটু বেগড়বাই করলেই দেব উড়িয়ে’। অন্যদিকে এমন কিছু দেশও আছে, যাদের সামরিক বাহিনী বলে কিছু নেই। কাউকে ভয়ডর না দেখিয়ে শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে তারা। সেনাবাহিনী বিহীন এই দেশগুলোর কথাই একটু জেনে দেওয়া যাক-

কোস্টারিকা
মধ্য আমেরিকার এই দেশটির সংবিধানই বলে যে, দেশের কোনো সামরিক বাহিনী থাকবে না। এই পরিস্থিতি চলছে ১৯৪৯ সাল থেকে। জাতিসংঘের শান্তি বিশ্ববিদ্যালয় এই কোস্টারিকায়।

লিখস্টেনস্টাইন
ইউরোপের কেন্দ্রে এই ছোট্ট দেশটি তাদের সামরিক বাহিনী বাতিল করে দিয়েছে ১৮৬৮ সালে। আর্থিক কারণেই সেনা বাহিনী বন্ধ করা হয়েছিল। তখন এমনও আইন করা হয়েছিল যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে আবারও সেনাবাহিনী গঠন করা হবে। তবে সেটার আর কোনো প্রয়োজন পড়েনি। দেশটি ছোট হলেও ধনী দেশের তালিকায় শুরুর দিকেই থাকে।

সামোয়া
প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপরাজ্যটি নিউজিল্যান্ড থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে ১৯৬২ সালে। সেই থেকে দেশটির কোনো সামরিক বাহিনী নেই। প্রয়োজন হলে নিউজিল্যান্ড দেশটির প্রতিরক্ষার জন্য সামরিকভাবে সাহায্য দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অ্যান্ডোরা
ইউরোপের এই ছোট্ট দেশটি স্বাধীন ভূখণ্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ১২৭৮ সালে। আ্যান্ডোরার নিজস্ব সামরিক বাহিনী নেই, কিন্তু প্রয়োজনে স্পেন ও ফ্রান্স দেশটিকে সুরক্ষা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অ্যান্ডোরার আয়তন মাত্র ৪৭৮ বর্গমিটার, যা কিনা জাকার্তার মতো কোনো বড় শহরের চেয়ে কম।

টুভালু
প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপরাজ্যটির আয়তন মাত্র ২৬ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা মাত্র দশ হাজার। টুভালু কমনওয়েল্থের সদস্য। এখানকার শাসনব্যবস্থা এক ধরণের সংসদীয় রাজতন্ত্র। ছোট এই দেশেও কেন সামরিক বাহিনী নেই।

ভ্যাটিকান সিটি
ভ্যাটিকান হলো বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ। আয়তনে শূন্য দশমিক চার বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা ৮৪০। ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপের শহর এই ভ্যাটিকান। ইতালি দ্বারা পরিবেষ্টিত পবিত্র এই ভূখণ্ডে সেনাবাহিনীর কোনো দরকারই পড়ে না।

গ্রানাডা
আটলান্টিক মহাসাগরের ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে অবস্থিত দেশটি হলো একটি দ্বীপ, যার আয়তন মাত্র ৩৪৪ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা এক লক্ষ ৫ হাজার। দেশটি কমনওয়েল্থের সদস্য। সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের এই ছোট্ট দেশেও কোনো সেনা বাহিনী নেই।

নাউরু
প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপরাজ্যটির আয়তন ২১ বর্গ কিলোমিটারের কিছু বেশি। জনসংখ্যা ১০ হাজার। ছোট্ট এই দেশটিও সেনাবাহিনী ছাড়াই শান্তিপূর্নভাবে চলছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button