বিচিত্রতা

এক বছর পর মৃত মেয়ের হৃদস্পন্দন শুনলেন মা, লাফিয়ে উঠলেন আনন্দে

এক বছর পর মৃত মেয়ের হৃদস্পন্দন শুনলেন মা, লাফিয়ে উঠলেন আনন্দে

অঙ্ক পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছিলেন এলিডিয়া। তার জন্য অবসাদে ভুগছিলেন। কিন্তু সামান্য এই কারণের জন্য এলিডিয়া এত বড় কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলতে পারে! গুণাক্ষরেও আন্দাজ করতে পারেননি তাঁর মা এম্মি হেমলিন। তিনি বলছিলেন, ”আমি জানতাম ও অঙ্ক কষতে ভালবাসে। অঙ্ক বিষয়টাকে ও খুব ভালবাসে। কিন্তু তার জন্য ও নিজেকে শেষ করে ফেলবে স্বপ্নেও ভাবিনি। ওর মৃত্যু আমার জীবনে সব থেকে খারাপ একটা অধ্যায়। ওকে ছাড়া আমি কতটা খারাপ আছি বলে বোঝাতে পারব না কাউকে।”

এলিডিয়া তাঁর মাকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন এক বছর হল। আর বিষ্ময়কর কাণ্ডটাও ঘটল এক বছর পরই। হঠাত্ই এক মহিলা এম্মির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফোনে জানান, তিনি দেখা করতে চান। কেন, কারণটা দেকা হলেই বলবেন বলে জানান। এম্মি রাজি হন। এর পর সেই মহিলা একটি মেয়েকে নিয়ে আসেন এম্মির কাছে। ব্রুকলিন নামের সেই মেয়েটির হৃদস্পন্দন শুনে লাফিয়ে ওঠেন এম্মি। এ তো তাঁর মেয়ের হৃদস্পন্দন! ব্রুকলিনের মধ্যে বেঁচে আছে এলিডিয়া। এলিডিয়ার হৃদযন্ত্রে নতুন জীবন পেয়েছে ব্রুকলিন। তাই ব্রুকলিনের মা এসেছিলেন এম্মিক সেটা জানাতে।

মেয়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন এম্মি। কিন্তু এক দুঃখের মধ্যেও মেয়ের অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এলিডিয়ার মৃত্যুর এক সপ্তাহের মধ্যে অপারেশন হয় ব্রুকলিনের। তাঁর হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে পড়েছিল। বাঁ—দিকের অংশ একেবারেই কাজ করছিল না। এলিডিয়ার হৃদযন্ত্র বসে এলিডিয়ার বুকে। এম্মি বলছিলেন, ”আমার মেয়ে ওর মধ্যে বেঁচে আছে। ব্রুকলিনকে দেখে তো আমার নিজের মেয়েই মনে হল। আর ও—ও গান শুনতে ভালবাসে। ব্রুকলিন যেন আমার জীবনে নতুন আশার আলো নিয়ে এসেছে। আমি কখনও ভাবিনি যে এলিডিয়ার হৃদস্পন্দন আবার শুনতে পাব।”

সুত্র : ২৪ ঘন্টা

আরও পড়ুন ::

Back to top button