বিনোদন

কাজ না করলে আমাদের প্রফেশনে টাকা নেই : কৌশিক সেন

কাজ না করলে আমাদের প্রফেশনে টাকা নেই : কৌশিক সেন

কলকাতা: যখনই কোনও বড় সমস্যা হয়েছে তখন সাধারণ মানুষের পাশে সর্বদাই দেখা গিয়েছে অভিনেতা কৌশিক সেনকে। করোনার মতন মহামারী যেখানে হাজারে হাজারে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে সেখানেও যিনি তিনি তাঁর সাধ্যের মতন সব চেষ্টা করবেন সেটাই তো স্বাভাবিক। তবে এবারে তিনি একা নন বরং এই বন্দিদশাতেও পরিবারের তিনটি প্রাণী একসঙ্গে সর্বক্ষণ চেষ্টা করছেন অসহায় মানুষগুলির হাতে সামান্য হলেও যদি কিছু তুলে দেওয়া যায়।কৌশিক জানান “লকডাউন শুরু হওয়ার সময় থেকেই আমরা কাজ করছি। আমি,ঋদ্ধি এবং রেশমি আমরা আমাদের যত যোগাযোগ আছে সবার কাছেই পৌঁছে যাচ্ছি। যে

যেরকম ভাবে পারবে কিছু যাতে সাহায্য করেন। দেশে তো বটেই, বিদেশেও আমাদের পরিচিত যারা রয়েছেন, তাঁদেরও বলা হয়েছে। আমার পরিবারের পাশাপাশি আমাদের এক্সটেন্ডেড ফ্যামিলি অর্থাত্‍ থিয়েটারের সঙ্গেও যারা যুক্ত আছেন তাঁরা সবাই, যেখানে যেভাবে সম্ভব অর্থ জোগাড় করছেন।”

কিন্তু করোনার মতন একটা বিষয় কতটা ভাবাচ্ছে কৌশিককে? তিনি জানান “নানা এটা নিয়ে আমরা সকলেই বেশ টেনশনে রয়েছি।প্রকাশ না করলেও একটা ভয় তো কাজ করছে। আমরা কেউই টাকার গদির ওপরে বসে নেই। কাজ না করলে আমাদের প্রফেশনে টাকা নেই।কারুর বেশি আছে কারুর কম আছে। কিন্তু এমন বিশাল টাকা কারুরই ফিল্ম বা থিয়েটার ইন্ডাস্ট্রিতে নেই যে দিনের পর দিন রোজগার না করে বসে থাকলেও চলবে। কাজ তো করতেই হবে। হোপ সব কিছু খুব তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যায়।”

রাজনৈতিক দিক থেকে দেখতে গেলে বলাই চলে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কোথাও যেন একটা সমন্বয়ের জায়গা তৈরী হয়েছে সব রাজ্যগুলির সেখানে কি মত কৌশিকের? “এক্সাক্টলি! সত্যি সেটা হয়েছে।কারণ এটা বেঁচে থাকার লড়াই। তাই আমার মনে হয়না এখানে বিমত কেউ হবেন।এটা প্রমাণিত আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বেশ ভালো কাজ করছেন আর আমাদের প্রধানমন্ত্রীও অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি সতর্ক। এখানে সত্যি জোর করে সমালোচনা করার কোনও জায়গা নেই।আমাদের সামনে আরো বড় ধাক্কা আসছে। যেটা অর্থনৈতিক ধাক্কা।সুতরাং সেইগুলো সামলে ওঠাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।”

কৌশিক মনে করেন ফিল্ম হোক বা থিয়েটার সবটা স্বাভাবিক হতে গোটা বছরটাই লেগে যেতে পারে। তবে এই ইন্ডাস্ট্রিকে যদি কেউ বাঁচিয়ে রাখতে পারে তা হল সিরিয়াল।কারণ সব ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও হলে গিয়ে ছবি দেখার মতন, বা থিয়েটার দেখার মানসিকতা কতজনের থাকবে সেটা একটা বড় প্রশ্ন। সেক্ষেত্রে প্রযোজকরা সিরিয়ালে বা ওয়েবসিরিজেই লগ্নি করবেন।সব থেকে আগে সিরিয়ালের শুটিং শুরু হওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি সেক্ষেত্রে। তবে নিজেকে পসিটিভ রাখাটাও খুবই দরকার বলে মনে করেন কৌশিক।

ঋদ্ধি, রেশমি এবং কৌশিক অনেকটা সময় কাটান ভালো ছবি ও ওয়েবসিরিজ দেখে।সেগুলো নিয়ে খানিকটা আলোচনা এবং স্টাডিও চলতে থাকে তিন জনের মধ্যে।রেশমি আবার খুব ভালো রান্নাও করেন।সুতরাং খানিকটা ভালো কিছু পদ আস্বাদন।রোজ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে খবরের কাগজ পড়া এবং রেশমির সঙ্গে সেটা নিয়ে আলোচনা করাটাও এখন কৌশিকের শিডিউলেরই অংশ বলা যেতে পারে। শুধু অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো ভাবেই লড়বার পথ নেই। তাই চাই অনেকটা ধৈর্য,এমনটাই মনে করেণ কৌশিক সেন।

সুত্র: News18

আরও পড়ুন ::

Back to top button