কলকাতা

লকডাউনে উপচে পড়ছে ভিড়ের জন্য, ৭ দিনের জন্য বন্ধ করা হল ‘রেড জোন’ বারাসতের বড়বাজার

লকডাউনে উপচে পড়ছে ভিড়ের জন্য, ৭ দিনের জন্য বন্ধ করা হল 'রেড জোন' বারাসতের বড়বাজার

 

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: জেলা রেড জোনে। অথচ জেলা সদর বারাসতের বাজারে ভিড়ের অন্ত নেই। লকডাউনে বাজারই যেন খোলা আকাশ। সকাল হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে বেরিয়ে পড়ছেন মানুষজন। সেই ভিড় থাকছে রাত পর্যন্ত। তাই করোনা ঠেকাতে বাধ্য হয়ে বারাসতের বড়বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার থেকে সাতদিন বন্ধ থাকবে এই বাজার, এমনটাই জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা।

বারাসতের উপ-পুরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘যেভাবে ভিড় হচ্ছে তাতে ব্যবসায়ীদেরও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। তাঁরাও মানুষ, তাঁদেরও পরিবার আছে। প্রতিদিনই ভিড় হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসন বারবার সতর্ক করার পরও মানুষের হুঁশ ফিরছে না। বাইরের এলাকা থেকেও লোক সেখানে আসছেন। তাই সাতদিন বাজার বন্ধ রাখা হবে বলে ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জগন্নাথ পাল জানিয়েছেন, ‘যেভাবে মানুষ বাজারে ভিড় করছেন তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, এখন কিছু মানুষ অতিরিক্ত জিনিস মজুত করছেন। বাইরে থেকে বহু মানুষ গাড়ি নিয়ে এখানে জিনিস কিনতে আসছেন। তাই সামাজিক সংক্রমণের ভয় ক্রমশ বাড়ছে। তারপর প্রশাসনেরও চাপ রয়েছে। তাই সব ব্যবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে সিদ্বান্ত নিয়েছেন সাতদিন বন্ধ রাখার। পরিস্থিতি বুঝে এই সিদ্ধান্ত পরে বদলও হতে পারে।’

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একাধিক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক গোটা জেলাকে রেড জোন হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে। মুখ্যমন্ত্রী জেলার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে ১৪ দিনের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন। গত কয়েকদিন দেখা গিয়েছে, অন্য সব কিছু বন্ধ থাকলেও বাজারে ভিড় কিছুতেই কমছে না। শুক্রবার বিকেল থেকে পুলিশ বাজারে বাজারে অভিযান চালায়।

তারপর বেশ কিছু জায়গায় ভিড় কমলেও বারাসতের বড়বাজারে কোনও পরিবর্তন আসেনি। বড়বাজারে যেহেতু খুচরো ও পাইকারি সব দোকানই আছে তাই ভিড় এখানে বেশি হয়। বাধ্য হয়ে শনিবার থেকে ময়দানে নামেন স্বয়ং পুলিশ সুপারও। কিন্তু প্রতিবারই দেখা যাচ্ছে, পুলিশ আসা মাত্রই বাজার ফাঁকা। চলে গেলেই আবার জটলা।

তাই বারাসতের বড়বাজার ও সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে পুলিশ। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা। তবে বড়বাজার বন্ধ থাকলেও পাড়ার দোকান বন্ধ রাখার কোনও নির্দেশ দেয়নি পুলিশ। শুধু যে সব বাজারে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় হচ্ছিল, সেগুলি বন্ধ করে দিচ্ছে পুলিশ। কিছু জায়গায় পালা করে এক এক দিন এক এক জন বসবেন ব্যবসায়ীরা।

সুত্র:সংবাদ প্রতিদিন

আরও পড়ুন ::

Back to top button