মালদা

পচা চাল ও আলু বিলির প্রতিবাদে মালদহে তৃণমূল অফিসে স্থানীয়দের বিক্ষোভ

পচা চাল ও আলু বিলির প্রতিবাদে মালদহে তৃণমূল অফিসে স্থানীয়দের বিক্ষোভ

 

মালদহ: নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী বিলি করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে সোমবার ভালুকায় তৃণমূল পার্টি অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রবিবার জেলা ও ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের দুঃস্থ পরিবারগুলির সদস্যদের হাতে চাল ও আলু তুলে দেওয়া হয়। এ দিন মাইকে প্রচার করে রীতিমতো ঘটা করে এলাকার দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে ত্রাণ বিলি করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।

প্রায় দু’শো পরিবারের হাতে এদিন ত্রাণ তুলে দেন তাঁরা। তবে ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই ত্রাণ নিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে যে ত্রাণ তাঁরা পেয়েছিলেন, পরে বাড়ি গিয়ে দেখেন তার পুরোটাই খাবার অযোগ্য। লক্ষণ ঘোষ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ”লকডাউনের ফলে কাজ নেই।

তাই বেজায় সমস্যায় রয়েছি। ত্রাণ দেওয়ার খবর পেয়ে কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে চাল ও আলু সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু বাড়ি গিয়ে দেখি আলু পচে গেছে এবং চালও পোকা ধরা।” শুধু লক্ষণবাবু নয় একই অভিযোগ করেন লক্ষ্মী রায়, শেফালি বনিক। সোমবার দুপুর নাগাদ শয়ে শয়ে মানুষ ভিড় জমাতে থাকেন ভালুকা তৃণমূল পার্টি অফিসে। বিলি করা চাল ও আলু পার্টি অফিসের ভেতরে ফেলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভালুকা ফাঁড়ির পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ ।

এরপরেই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। জেলা যুব তৃণমূল নেতা অম্লান ভাদুরির অভিযোগ, বিজেপির মদতেই এই ঘটনা ঘটেছে। যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা বিজেপি সমর্থক। তিনি বলেন, ”আমাদের উদ্দেশ্য দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। যদি চাল ও আলু খারাপ থাকে তবে নিশ্চয় সেগুলো ফেরত নিয়ে ভালো চাল ও আলু দেওয়া হবে।’

‘ তবে বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল। তিনি বলেন, ”এই মহামারীর সময়েও তৃণমূল যে ভাবে দুঃস্থ পরিবারগুলির খাবার চুরি করেছে তাতে সাধারণ মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না। শুধু মালদহ নয় এই অভিযোগ উঠছে সারা রাজ্যে।” এর বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তেরও দাবি তুলেছেন গোবিন্দ বাবু।

সুত্র:THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button