ঝাড়গ্রাম

প্রতীকদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আমিরুলেরা, আটকে থাকা অভুক্ত শ্রমিকদের কাছে পৌঁছল খাদ্যসামগ্রী

প্রতীকদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আমিরুলেরা, আটকে থাকা অভুক্ত শ্রমিকদের কাছে পৌঁছল খাদ্যসামগ্রী

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: প্রতীক মৈত্রের উদ্যোগে অভুক্ত আমিরুল শেখ, আসাদুল্লা রহমান, কালাম শেখ, লাল্টু শেখের মতো ১৬ জন রাজমিস্ত্রির কাছে পৌঁছল খাদ্যসামগ্রী।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আমিরুলদের জড়িয়ে ধরে পাশে থাকার বার্তা দিলেন ঝাড়গ্রাম শহরের তরুণ সমাজসেবী প্রতীক। লকডাউনে সমস্যায় পড়া মানুষজনের কাছে ‘মুস্কিল আসান’ হয়ে উঠেছেন প্রতীক ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু। বিভিন্ন জায়গা থেকে সাহায্য নিয়ে তহবিল তৈরি করে সেই টাকায় খাদ্যসামগ্রী কিনে পৌঁছে দিচ্ছেন অভুক্তদের দরজায়।

রবিবার রাতে প্রতীকেরা খবর পান ঝাড়গ্রাম শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের চিত্রেশ্বরপল্লীতে আটকে থাকা মুর্শিদাবাদের কয়েকজন শ্রমিক অভুক্ত অবস্থায় রয়েছেন। ঝাড়গ্রামে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে এসে ‌লকডাউনে আটকে পড়েছেন তাঁরা। তাঁদের সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার দিয়াড় রানিনগর গ্রামে। আটকে থাকা শ্রমিকদের লকডাউনের শুরুর দিকে প্রশাসনের তরফে ১২ কেজি চাল ও আনাজ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে সব শেষ হয়ে যাওয়ার পরে নতুন করে কিছু আর দেওয়া হয়নি বলে আমিরুলদের অভিযোগ।

প্রতীকদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আমিরুলেরা, আটকে থাকা অভুক্ত শ্রমিকদের কাছে পৌঁছল খাদ্যসামগ্রী

এদিকে সঙ্গে টাকা পয়সা শেষ হয়ে যাওয়ায় দু’দি‌ন কার্যত অভুক্ত থাকতে হয় তাঁদের। রবিবার রাতে প্রতীক খবর পেয়ে যোগাযোগ করেন আমিরুলদের সঙ্গে। রাতে প্রশাসনও আমিরুলদের অবস্থার কথা জানতে পেরে তাঁদের কাছে কয়েক প্যাকেট আনাজ পাঠায়। সোমবার সকালে প্রতীক ও তাঁর বন্ধু দেবাশিস ভুঁই, গৌরাঙ্গ প্যাটেল, অনুপ ঠাকুর, অভিরাজ সিং, সোমনাথ দাসেরা ২৫ কেজি চাল, ৪ কেজি মুসুর ডাল, ১২ কেজি মুড়ি, এক ট্রে ডিম, সর্ষের তেল, সয়াবিন, মশলাপাতি, আলু, কুমড়ো নিয়ে হাজির হন চিত্রেশ্বরপল্লীতে। আমিরুলদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন প্রতীকেরা। সজল চোখে আমিরুলেরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘মানবতা হারিয়ে যায় না।’’

আরও পড়ুন ::

Back to top button