পূর্ব মেদিনীপুর

চাল-আলুর পাশাপাশি দুঃস্থদের কাঁচা আনাজ ও ফল বিতরণ করলেন খেজুরির চার সবজি ব্যবসায়ী

চাল-আলুর পাশাপাশি দুঃস্থদের কাঁচা আনাজ ও ফল বিতরণ করলেন খেজুরির চার সবজি ব্যবসায়ী

 

বিভিন্ন জায়গা থেকে যখন আনাজের বাড়তি দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠছে তখন দরিদ্র পরিবারের মধ্যে আনাজ বিলি করলেন খেজুরি ২ নম্বর ব্লকের অজানবাড়ির চার সবজি ব্যবসায়ী। তাঁদের নাম লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল, গৌরহরি শীল, দেবব্রত পাত্র ও পলাশ মিদ্যা। দেশজোড়া লকডাউনের ফলে যখন অনেকেরই খাবার জোটাতে সমস্যা হচ্ছে তখনই তাঁদের এই উদ্যোগ।

অত্যাবশ্যকীয় হওয়ায় লকডাউনের মধ্যেও খোলা রয়েছে সবজির বাজার। তবে এরই মধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে অভিযোগ উঠছে আনাজের বাড়তি দাম নেওয়ার। শুধু আনাজ নয়, মাছ-মাংসেরও অতিরিক্ত দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুরো উল্টো ছবি অবশ্য বৃহস্পতিবার দেখা গেছে খেজুরি ২ নম্বর ব্লকে। বাজারের চার সবজি ব্যবসায়ীকে এদিন দেখা গেল অন্য রূপে। তাঁরা এলাকার ৫০টি দুঃস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন নিজেদের সাধ্য মতো।

ওই পরিবারগুলির হাতে তাঁরা তুলে দিয়েছেন চাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল, ডাল, কুমড়ো এমনকি তরমুজও। এসব পেয়ে দৃশ্যতই খুশি দুঃস্থ পরিবারগুলি। চাল-আটা পেলও কুমড়ো-তরমুজ কেউ তাঁদের দেননি। লকডাউনের সময় সবজিই যেখানে পাচ্ছিলেন না সেখানে ফল পাওয়ার কথা ভাবতেই পারছেন না তাঁরা। লকডাউনের সময় অবশ্য বেশ কয়েকটি অভিনব উদ্যোগ দেখা গেছে।

পুষ্টির অভাব দূর করতে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের একটি পরিবার দুঃস্থদের মধ্যে বিলি করেছিলেন অন্য জিনিসের পাশাপাশি একটি করে জ্যান্ত মুরগি। আবার কাঁথির দুই যমজ বোন তাদের জন্মদিনে ৫০টি দুঃস্থ পরিবারকে দিয়েছিল রান্নার মশলা ও দুধ। শিশুদের কথা ভেবেই তাদের এই উদ্যোগ। এবার দেখা গেল আনাজ ব্যবসায়ীরা নিজেরাই রেশনের সঙ্গে আনাজ ও ফল বিতরণ করছেন।

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউনে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন। সরকারের থেকে তাঁদের রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও কাঁচা আনাজ থেকে তেল-মশলার জন্য তাঁদের ভরসা করতে হচ্ছে সহৃদয় ব্যক্তি ও সংস্থার উপরে।

সুত্র:THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button