নিজেরা সময়মত সাম্মানিক পান না, তবুও রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে অর্থদান করলেন ধারাসেবকরা
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: তাঁদের নিজেদের কাজের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। অনেকেই সাম্মানিক ঠিকমত পান না। চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটে তাঁদের। কিন্তু ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের ‘ঊষরমুক্তি’ প্রকল্পের সেই ধারাসেবকরাই করোনা মোকাবিলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর জরুরি ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সাহায্য দিলেন।
ব্লকের ধারাসেবকরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী ছ’হাজার টাকা বিডিও-র মাধ্যমে রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন। বৃহস্পতিবার কয়েকজন ধারাসেবক সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের বিডিও-র হাতে চেক তুলে দেন। ধারাসেবকরা প্রতি মাসে প্রাপ্যভাতা সময়মত পান না। ‘ঊষরমুক্তি’ প্রকল্পের কাজ দেখভাল করার জন্য বছর দু’য়েক আগে রাজ্যের ছয় জেলায় (ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম) ধারাসেবক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।
২০১৮-র অক্টোবরে ওই সব জেলায় পঞ্চায়েতস্তরে প্রতিটি গ্রাম সংসদ এলাকায় একজন করে ধারাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। ওই ছ’টি জেলায় মোট ধারাসেবকের সংখ্যা ১১,৩৭৫ জন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাধারণ বেকার যুবক-যুবতীদের নিয়োগ করা হয়। ধারাসেবক-রা সবোর্চ্চ সাড়ে সাত হাজার টাকা মাসিক ভাতা পাবেন।
একশো দিনের প্রকল্পের টাকা থেকে ধারাসেবকদের ভাতা বা সাম্মানিক দেওয়ার কথা। মূলত, সেচের সুবন্দোবস্ত করে চাষের উন্নতির জন্যই পশ্চিমাঞ্চলের ছ’টি জেলায় ‘ঊষরমুক্তি’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কিন্তু অনেক ব্লকেই ধারাসেবকদের হাতে কোনো কাজ নেই। তার মধ্যেও গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের ধারাসেবকরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।