অন্ধকার মহামারির মেঘেও দেখা দিল রমজানের চাঁদ, শুভেচ্ছার সঙ্গে সতর্ক-ও করলেন প্রধানমন্ত্রী !
করোনাভাইরাস মহামারিজনিত কারণে লকডাউনের মধ্যেই শনিবার থেকে শুরু হতে চলেছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা ও রোজা রাখার পবিত্র মাস রমজান। শুক্রবারই রমজান চাঁদ দেখা দিয়েছে। এদিন সন্ধ্যায়, উপরাষ্ট্রপতি এম বেঙ্কাইয়া নাইডু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পবিত্র রমজান মাসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রতি বছর রমজান চাঁদ দেখতে পাওয়াটা মুসলমানদের জন্য দারুণ আনন্দ বয়ে আনে। তবে এবার করোনাভাইরাস মহামারি সবচাই বিবর্ণ করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও শুভেচ্ছা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থনা করেছেন, যাতে করোনা-যুদ্ধে মানুষ জয়লাভ করে এবং একটি স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ে তোলে।
দিল্লির জামা মসজিদের শাহি ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি ও ফতেহপুরি মসজিদের শাহি ইমাম মুফতি মোকার্রম আহমেদ দুজনেই এদিন সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, ভারত থেকে রমজান-এর চাঁদ দেখা গিয়েছে এবং শনিবার থেকেই রোজা শুরু হবে। তবে তাঁরা দেশের সব মুসলমানদের কাছে আবেদন করেছেন, তাঁরা যাতে সামাজিক দূরত্ব এবং লকডাউন বিধি মেনে চলেন। রমজানের সময়টা মসজিদের বদলে এই বছর ঘরেই সমস্ত আচার ও নামাজ আদায় করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
Ramzan Mubarak! I pray for everyone’s safety, well-being and prosperity. May this Holy Month bring with it abundance of kindness, harmony and compassion. May we achieve a decisive victory in the ongoing battle against COVID-19 and create a healthier planet.
— Narendra Modi (@narendramodi) April 24, 2020
দেশের সকল ইমাম, উলেমা ও মুসলিম সংগঠনগুলি সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রমজানের সময় মুসলমানরা মসজিদ বা অন্য কোনও ধর্মীয় স্থানে জমায়েত করবেন না এবং ঘরে বসেই ‘ইফতার’ এবং ‘তারাবিহ’-এর মতো সমস্ত আচার অনুষ্ঠান পালন করবেন। সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে চলবেন। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি বলেছেন, তিনি রমজানের সময় লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বের নির্দেশ মানার বিষয়ে সমস্ত রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ডের কর্তা, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, ইমামদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি আত্মবিশ্বাসী, মুসলমানরা রমজান মাসে লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্বের সব নির্দেশ মেনে চলবেন।
এদিন ভারত থেকে রমজানের চাঁদ দেখা যেতেই উপরাষ্ট্রপতি নাইডু টুইট করে বলেন, বিশ্বব্যাপী রমজান রোজা, প্রার্থনা, ভক্তি, আধ্যাত্মিকতা, বিশ্বাস, কৃতজ্ঞতা, ক্ষমা ও দানশীলতার মাস হিসাবে পালন করা হয়। ‘যদিও ঐতিহ্যগতভাবে আমাদের অধিকাংশ উত্সবের মতোই রমজান-ও সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক জমায়েতের সময় হলেও, এই বছর, আমাদের পরিবারের সাথে বাড়িতেই রমজান পালন করতে হবে এবং নামাজ পড়তে হবে এবং বড় সমাবেশ এড়িয়ে চলতে হবে। আসুন আমরা সবাই বাড়িতে থাকি এবং পুরো বিশ্বের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করি’।
সুত্র: Asianet বাংলা