বর্ষায় করোনা ভাইরাসের প্রভাব বাড়তে পারে, আশঙ্কার বার্তা বিজ্ঞানীদের
টানা ৪০ দিনের লক ডাউন চলছে দেশে, এর ফলেই তুলনামূলক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা হলেও কমানো গেছে, এমনটাই মনে করছে বিজ্ঞানীরা। তবে এর পরে লক ডাউন শিথিল করা হবে ও তার পরেই দেশে আসবে বর্ষাকাল। জুলাই কিংবা আগষ্ট মাসে এই বর্ষাকাল আসতে চলেছে। আর তখনই দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার সম্ভাবনা আছে করোনা। এমনটাই জানালো বিজ্ঞানীরা। লক ডাউনের শিথিল করার পর মানুষের চাল চলনের ওপরে বিরাজ করবে যে, কিভাবে দ্বিতীয় দফায় মানুষ করোনায় আক্রান্ত হবে। নিয়ম মেনে না চলতে পারলে মানুষ ফের আক্রান্ত যে হবে সেটার কথাই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
এখন দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪,৯৪২ জন। যা ২৫ মার্চে ছিল ৬১৮ জন। তখন মৃত্যুর সংখ্যাও ছিলস্বাভাবিকভাবেই কম ১৩ জন কিন্তু এখন সেটা বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৭৯’র ওপরে। তবে এই লক ডাউন যে কিছুটা হলেও কাম করেছে সেটা বোঝা যাচ্ছে। আগে যে সংক্রমণ ৩.৪ দিনের মধ্যেই হত, এখন সেটাই ৭.৫ দিনের মধ্যেই হচ্ছে।
#CoronaUpdatesInIndia Update as of this morning at 8 am, April 25#COVID2019india #coronavirusinindia #IndiaFightsCoronavirus #IndiaFightsCOVID19 pic.twitter.com/v92mhBul20
— PIB India #StayHome #StaySafe (@PIB_India) April 25, 2020
তবে এটা ভালো লক্ষণ হলেও, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যতক্ষণ না পর্যন্ত ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত কোনভাবেই সব কিছু স্বাভাবিক হবে না, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ১২-১৮ মাসের মতো সময় লাগবে এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার হতে, তাই এখন লক ডাউনের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও, সেটা ফের বাড়তে সময় বেশী লাগবে না। এভাবেই ১ বছর চলতেই হবে মানুষকে, তারপরে ভ্যাকসিন হাত আসলে সব আগের মতো হয়ে যাবে।
এদিকে ব্যাঙ্গালুরু আই আই টির তরফ থেকে বলা হয়েছে দ্বিতীয় দফা নিয়েই চিন্তা, মানুষকে খুব সাবধানে, নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে, ভিড় থেকে দূরে রাখতে হবে। অযথা জমায়েত করা যাবে না। এদিকে চিনের দিকে দেখলেই বোঝা যাবে আসল ব্যাপারটা, সেখানে আবার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
এখনলক ডাউন চলছে, আর সেই কারণেই একটা সুযোগ হাতে আছে, এখন যারা এই করোনাতে সংক্রমণ হতে পারে, আশঙ্কা বেশী তাদের খুজে বের করা। অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে, যারা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছিল, তারা আবার আক্রান্ত হচ্ছে, এতে বোঝাই যাচ্ছে যে দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ থেকে বাচার জন্য প্রথম দফার ইমিউন সিস্টেম কাজ করবে কি করবে না? এদিকে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন সংক্রামিত ব্যাক্তীর থেকেই সাধারণ্মানুষের দেহে রোগ ছড়ায়। এটাই যোগাযোগের মাধ্যম বলা চলে। এই সংক্রমণ যতক্ষণ পর্যন্ত ছড়ানোর হার এক জনের বেশী না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত কিন্তু প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলে।
সুত্র:সংবাদ মাধ্যম