ঝাড়গ্রাম

লকডাউনে চলে গেল লিও, শোকে পাথর শিক্ষিকার পরিবার

লকডাউনে চলে গেল লিও, শোকে পাথর শিক্ষিকার পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদন, ঝাড়গ্রাম: মাত্র একবছরে হৃষ্টপুষ্ট লিও হয়ে উঠেছিল দিদিমনির বাড়ির সকলের নয়নের মণি। লকডাউনে ঘরবন্দি সেই পুষ্যিকুকুর মনখারাপেই দেহ রাখল বলে প্রাণী চিকিৎসকের অনুমান। রবিবার রাতে ঝাড়গ্রাম শহরের বেনাগেড়িয়া এলাকায় একটি বাড়ির পোষা ‘গোল্ডেন রেট্রিভার’ কুকুরটির মৃত্যুর পরে এলাকার অনেকেই বলছেন লকডাউনে অবলা জীবদের মনেও চাপ পড়ছে। বাড়ির ভিতরে বদ্ধ জীবনে হাঁপিয়ে উঠছে তারা। তার ফলে স্ট্রোকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হৃদস্পন্দন।

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই রকম কয়েকটি গৃহপালিত কুকুরের মৃত্যর তালিকায় যুক্ত হল ঝাড়গ্রাম শহরের শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা মজুমদারের বাড়ির পোষা কুকুরটিও। ঝাড়গ্রাম শহরের বেনাগেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা শর্মিষ্ঠাদেবী গত বছর ছোট্ট লিওকে বাড়িতে এনেছিলেন। দামি কুকুর, তাই যত্নআত্তির ত্রুটি ছিল না। কিন্তু টানা লকডাউনের ফলে লিওকে সকালে-বিকেলে নিয়ম করে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। শনিবার দুপুরে স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া করার পরে দিব্যি ছিল লিও। কিন্তু বিকেল থেকেই ঝিমিয়ে পড়ে সে। খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেয়। বন্ধ রয়ে যায় কুকুরটির রেচনক্রিয়া।

প্রাণী চিকিৎসক এসে ইঞ্জেকশন দেন। ওষুধও খাওয়ানো হয়। কিন্তু রবিবার রাতে মারা যায় লিও। প্রাণী চিকিৎসকের সন্দেহ, মন খারাপের জেরে কোনও দূষিত বস্তু খেয়ে থাকতে পারে কুকুরটি। সেই কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রেচনক্রিয়া। শর্মিষ্ঠাদেবী জানালেন, এক বছরে কখনও খাবারের বাইরে অন্য কোনও জিনিস খেত না লিও। তাহলে কী ঘরবন্দি থেকে মন খারাপের কারণে সে বর্জ্য কিছু খেয়ে নিয়েছিল? লকডাউনের মধ্যে প্রশ্ন রেখে চলে গেল লিও!

আরও পড়ুন ::

Back to top button