রাজ্য

প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার পরামর্শ মমতার

প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার পরামর্শ মমতার

 

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে পর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। তিনি বলেন, “ওরা তো এক সময় বলেছিল প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা করে দেবে। অনেক টাকা তো জমেছে এবার সেই টাকা দিন। তাহলে লকডাউন চললে সাধারণ মানুষ চালিয়ে নিতে পারে।” মুখ্যমন্ত্রী সোমবার বলেন, “প্রাইম মিনিস্টারের কথায় যা বুঝলাম, তাতে করোনা এখনও চলবে। কিন্তু আমরা তো একটা জিনিস নিয়ে পড়ে থাকতে পারি না। শ্রমিকদের চলবে কী করে। টাকাটাও তো দিতে হবে।

সে সব শোঅফ করার জন্য প্রোজেক্ট আছে সেগুলো রিফর্মস করলে তো আর ডিএ কমাতে হয় না। যে রিফর্মসে মানুষের পেটের ভাত নষ্ট হয় সেটাকে রিফর্মস বলা যায় না। আমরাও রিফর্ম করেছি, কারও চাকরি খাইনি।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”আমাদের এত খরচ হচ্ছে। সামলাব কী করে? ওনলি বার্নিং, নো আর্নিং।” কেন্দ্রের ভুমিকার সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একদিকে বলছে লকডাউন খুব কড়া করতে হবে। আবার বলছে সব দোকান খুলে দাও। আমরা চাই তো সব দোকান খুলতে। কিন্তু তাহলে তো লোকে যাতায়াত করবে।

ভিড় হবে। ভিড় বাড়লে লকডাউন ব্যর্থ হবে। তাহলে কোনটা করব? কেন্দ্র যা বলছে, তাতে ক্ল্যারিটির অভাব আছে। আমরা ঝগড়া করতে চাই না, কোভিডের ফাইট করতে চাই মানুষের স্বার্থে। আমি তো লকডাউনের পক্ষে। তাহলে দোকান কী করে খুলব? দোকান খুললে লোককে কী করে বলব, দোকানে যাবেন না?” মমতা বলেন, “আমি মুখ্যসচিবকে বলেছি ক্যাবিনেট সেক্রেটারিকে চিঠি পাঠাতে যাতে একটা ক্ল্যারিটি দেয় আমাদের।

রেড, অরেঞ্জ, গ্রিন জোন গুলির ক্যাপাসিটি কি হবে তা নিয়ে আমরা পরশু আলোচনা করব।আশা করি ক্ল্যারিটি দেওয়া হবে। সেন্ট্রাল পলিসি ঠিক করে দেয়, প্রয়োগ করতে হয় রাজ্যকে। রাজ্য ভাল করলে প্রশংসা করে না, খারাপ করলে নিন্দা করে।” এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে তিনি কিছু বলার সুযোগ পাইনি। ‘

সুত্র: DNA বাংলা

আরও পড়ুন ::

Back to top button