অপরাধ

ছেলেকে গণধর্ষণে সাহায্যের অভিযোগ ছিল, রাজস্থানে লকডাউনে স্কুলে আটকে থাকা মহিলাকে ‘ধর্ষণ’

ছেলেকে গণধর্ষণে সাহায্যের অভিযোগ ছিল, রাজস্থানে লকডাউনে স্কুলে আটকে থাকা মহিলাকে ‘ধর্ষণ’

লকডাউনের জেরে বাড়ি ফিরতে পারেননি। সোয়াই মাধোপুর জেলা প্রশাসন একটি স্কুলে রেখেছিল। সেখানেই এক ৪০ বছরের মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তিন যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে হেড কনস্টেবল লাল চাঁদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। জেলাশাসক নান্নু মাল পাহাড়িয়া এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘২০১৫ সালে জয়পুরে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ওই মহিলার ছেলের বিরুদ্ধে। তিনিও এই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। তবে গত বছরের মার্চে তিনি রেহাই পান। তাঁর ছেলে এখন দৌসা জেলে বন্দি। সেখানে ছেলেকে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই লকডাউন জারি হয়ে যাওয়ায় তাঁর পক্ষে আর বাড়ি ফেরা সম্ভব হয়নি। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি সোয়াই মাধোপুরে আটকে আছেন। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তিনজনের বিরুদ্ধে।’

পুলিশ সুপার সুধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘করোনা ভাইরাসের জন্যই ওই মহিলার ছেলেকে জয়পুরের জেল থেকে সরিয়ে দৌসা জেলে নিয়ে আসা হয়। ওই মহিলা এক মাস ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন। বৃহস্পতিবার তিনি একটি গ্রামে যাওয়ার পর বিট কনস্টেবল খবর দেন হেড কনস্টেবলকে। হেড কনস্টেবল, সরকারি স্কুলের ২ দু’জন শিক্ষক ও গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেই রাতে ওই মহিলাকে স্কুলে রাখা হবে। এই সিদ্ধান্ত যখন নেওয়া হয়, তখন সেখানে ৪০ জন ছিলেন। শিক্ষকরা বাড়ি চলে যাওয়ার পরেই তিনজন ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, হেড কনস্টেবল কর্তব্যে গাফিলতি করেছেন। ওই মহিলার সঙ্গে অন্তত একজন মহিলা কনস্টেবল বা স্থানীয় কোনও মহিলাকে রাখা উচিত ছিল। ওই স্কুলের শিক্ষকরাও বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি।’

সুত্র : এবিপি আনন্দ

আরও পড়ুন ::

Back to top button