পশ্চিম মেদিনীপুর

করোনা আশঙ্কায় ক্যানসারে মৃতার দেহ গ্রামে ঢোকাতে বাধা, হাসপাতালেই দিদির দেহ রেখে ফিরলেন ভাই

করোনা আশঙ্কায় ক্যানসারে মৃতার দেহ গ্রামে ঢোকাতে বাধা, হাসপাতালেই দিদির দেহ রেখে ফিরলেন ভাই

 

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে যখন ভর্তি হয়েছিলেন তখন নিশ্চয়ই সেই রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। স্রেফ এই আশঙ্কার জেরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার উত্তর বাসুটিয়া গ্রামে ক্যানসারে ভুগে মৃত্যু হওয়া মহিলার দেহ নিয়ে আসতে দিলেন না গ্রামবাসীরা। পুলিশ থেকে শ্মশান – দোরে দোরে ঘুরে কোনও লাভ না হওয়ায় হাসপাতালের দেহ ফেলে রেখে তাঁর বাড়ির লোকজন গ্রামে ফিরে আসেন।

বছর একত্রিশের প্রতিমা মুখোপাধ্যায়কে গত ২৮ এপ্রিল মেদিনীপুর মেডিক্যাল ভর্তি করা হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যানসারে ভুগছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর প্রতিমার ভাই তাঁকে নিজের কাছে এনে রাখেন। বুধবার রাত ১০টা নাগাদ রক্ত দেওয়ার সময় তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালের তরফে বৃহস্পতিবার সকালে মৃতার ভাই বিশ্বজিত্‍ পণ্ডিতকে বলা হয় মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য। প্রতিমার মৃত্যুর খবর গ্রামের লোকে জেনে যান। তখন শঙ্কিত গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে জানিয়ে দেন মৃতদেহ গ্রামে নিয়ে আসা যাবে না। মৃতদেহ দাহ করতেও গ্রামের কেউ যাবেন না। এরপরই বিপাকে পড়েন মৃতার পরিবার। মৃতার ভাই তখন সিদ্ধান্ত নেন মেদিনীপুরে মৃতদেহ সত্‍কার করে বাড়ি ফিরবেন।

দাহ করার ব্যবস্থার করে দেওয়ার জন্য একাধিক সরকারি দফতরের দরজার কড়া নাড়লেও কোনও সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ। হাসপাতাল সুপার থেকে কোতওয়ালি থানা এমনকি পদ্মাবতী শ্মশান – সব জায়গা থেকে উত্তর আসে: এখানে সেরকম কোনও ব্যবস্থা নেই। শেষ পর্যন্ত কোথাও কোনও সাহায্য না পেয়ে বাধ্য হয়েই নিজের দিদির শেষকৃত্য না করেই মৃতদেহ হাসপাতালে ছেড়ে বাড়ি ফিরে যান তাঁর ভাই।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফেসিলিটি ম্যানেজার সঞ্জীব গোস্বামী বলেন, ‘মৃতদেহটিকে মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পুলিশ এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

সুত্র: THE WALL

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button