ঝাড়গ্রাম

লালগড়ের গ্রামে নদীর ঘাটে লুটিয়ে পড়ে হৃদরোগী মহিলার মৃত্যু !

লালগড়ের গ্রামে নদীর ঘাটে লুটিয়ে পড়ে হৃদরোগী মহিলার মৃত্যু !

প্রতীকী ছবি

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: রোজ-দিনকার মত লালগড়ের বেলাটিকরি গ্রামে কংসাবতী নদীর ঘাটে স্নান করতে গিয়েছিলেন মল্লিকা দণ্ডপাট (৩৪)। কিন্তু শনিবার সকালে সেই স্নান করতে যাওটাই কাল হল তাঁর। এদিন সকালে নদীর পাড়ে আচমকা সংজ্ঞা হারিয়ে লুটিয়ে পড়লেন তিনি। আশেপাশের লোকজন ছুটে এসেছিলেন বটে, কিন্তু সাম্প্রতিক আতঙ্কের কারণে মল্লিকাকে কেউ ছুঁয়ে দেখেননি। খবর পেয়ে তাঁর বাড়ির লোকজন যখন এসে পৌঁছন, তখন নিথর হয়ে গিয়েছে মল্লিকার দেহ।

খবর দেওয়া হয় লালগড় থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সেখানে মল্লিকাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তারপর ময়না তদন্তের পরে দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। মল্লিকার বাপের বাড়ি লালগড়ের বেলাটিকরি গ্রামে। বছর তিনেক আগে তিনি হৃদরোগের সমস্যার জন্যে বাপের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন।

এদিন সকালে রোজদিনকার মত বেলাটিকরি গ্রামের লাগোয়া কংসাবতী নদীর ঘাটে স্নান করতে গিয়েছিলেন মল্লিকা। তবে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, অন্যদিন মল্লিকার সঙ্গে তাঁর মাও ঘাটে আসতেন। এদিন বাড়িতে রান্নার কাজ থাকায় আসতে পারেন নি মল্লিকার মা পাখি দোলাই। সেই জন্য সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ একাই ঘাটে এসেছিলেন মল্লিকা। কিন্তু জলে নামার আগেই আচমকা অসুস্থ হয়ে নদীর ঘাটে পড়ে যান তিনি।

ঝাড়গ্রাম শহরের পুরাতন ঝাড়গ্রামে মল্লিকার শ্বশুরবাড়ি। মল্লিকার স্বামী অসিত দণ্ডপাট পেশায় দিনমজুর। মল্লিকা ও অসিতের তিন মেয়ে ও এক ছেলে। অভাবী পরিবার, তাই চিকিৎসা ঠিক মত হচ্ছিল না। সেই কারণেই মল্লিকা বাপের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। এদিন অবশ্য মৃতদেহ ময়না তদন্তের পরে ঝাড়গ্রামের শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন মল্লিকার শ্বশুরবাড়ি ও বাপেরবাড়ির লোকজন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button