কলকাতা

‘সংকটে অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করবেন না’, রাজ্যপালকে পত্রাঘাত মুক্ষমন্ত্রির !

'সংকটে অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করবেন না', রাজ্যপালকে পত্রাঘাত মুক্ষমন্ত্রির !

 

করোনা আবহে গত মাসেই একপ্রস্থ চিঠি চালচালির জেরে উত্তপ্ত হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতি। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবার রাজভবন-নবান্ন সংঘাতের আবহ। এবার রাজ্যপাল ভাষা প্রয়োগ নিয়ে আপত্তি তুলে জগদীপ ধনকড়কে ১৩ পাতার চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৩-২৪ এপ্রিলের চিঠিতে রাজ্যপাল ধনকড় মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে দু’টি চিঠি দিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই শনিবার রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে চিঠি দেন মমতা।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে লিখেছেন, ‘রাজ্যপাল যে ভাষায় আমাকে এবং আমার মন্ত্রীদের সমালোচনা করেছেন তা নজিরবিহীন। রাজ্যপালের ভাষা প্রয়োগ নিয়ে প্রতিবাদ করছি। ওই দু’টি চিঠি পেয়ে আমার রাগের চেয়ে কষ্ট বেশি হয়েছে।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘রাজ্যপালের এই ভাষা ব্যবহার একেবারেই কাম্য নয়, রাজ্যপালের কাছে সহযোগিতা কামনা করি।

রাজ্যপালের ভাষা যে অন্যান্য মন্ত্রীদের ক্ষেত্রেও অপমানজনক তাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সর্বোচ্চ আদালতের বেশ কয়েকটি রায় স্মরণ করিয়ে দিয়ে রাজ্যপালকে ‘নম্র’ ব্যবহারের আর্জি জানিয়েছেন মমতা।

এর আধ ঘন্টার মধ্যেই টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির জবাব দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির কোনও সারবত্তা নেই বলেই মত তাঁর। যদিও টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, ‘সংঘাতের সময় নয়। এটা হাতে হাত ধরেই পরিস্থিতি মোকাবিলার সময়।’

করোনা পরিস্থির শুরু থেকেই মমতা-ধনকড় সংঘাত অব্যাহত। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের পদক্ষেপ ঘিরে একাধিকবার নানা প্রশ্ন তুলেছেন ধনকড়। জবাবে, রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর পদের মর্যাদা ও গুরুত্ব ধনকড়কে স্মরণ করিয়ে রীতিমতো চাঁচাছোলা ভাষায় মমতা লিখেছিলেন, ‘আপনি মনে হয় ভুলে গিয়েছেন, আমি একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী, আর আপনি মনোনীত রাজ্য়পাল’। মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা চিঠি লিখে রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘সাংবিধানিকভাবে আপনি পুরোপুরি ব্যর্থ, এটা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি’। পরে রেশন দুর্নীতি নিয়েও সরব হন তিনি।

এখানেই শেষ নয়, ১৪ পাতার চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল জানান, ‘পাহাড় প্রমাণ ব্যর্থতা ঢাকতেই মুখ্যমন্ত্রী বারে বারে স্ট্রিট ফাইটার অবতার ধারণ করেছেন।’ সেই চিঠির জবাবই শনিবার দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

সুত্র: The Indian Express বাংলা

আরও পড়ুন ::

Back to top button