১৪০০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়েও বাবার সাথে শেষ দেখা হল না মেয়ে রিধিমার !
বাবার মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই দিল্লি থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা হওয়ার জন্য মন ছটফটিয়ে উঠেছিল। কিন্তু লকডাউনের মাঝে কোনও গতি নেই! পঞ্চভূতে বিলীন হওয়ার আগে শেষবারের মতো আর বাবাকে কাছ থেকে দেখতে পাননি। শেষকৃত্যের সময় আলিয়া ভাট ভিডিও কল করেছিলেন। সেটাই ছিল সে সময়ের ভরসা। ভিডিও কলেই বাবা ঋষি কাপুরকে শেষবারের মতো বিদায় জানিয়েছিলেন মেয়ে।
ঋষি মারা যাওয়ার পরের দিনই নিজের গাড়িতে দিল্লি থেকে সড়কপথে রওনা হয়েছিলেন মু্ম্বইতে। একটা গোটা দিন শুধুমাত্র প্রসাশনের থেকে অনুমতি চাইতেই চলে গিয়েছিল। তাই আর সেদিন তত্ক্ষণাত্ রওনা দিতে পারেননি। অবশেষে গতকাল অর্থাত্ শনিবার রাতে মেয়ে সমারা সাহানির হাত ধরে শূন্য কৃষ্ণারাজ ম্যানশনে পৌঁছলেন রিধিমা কাপুর সাহানি।
দেশজুড়ে লকডাউনের জন্যই বাবার শেষকৃত্যে যোগ দিতে পারলেন না রিধিমা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেও উপায় হয়নি বৃহস্পতিবার মুম্বইতে পৌঁছনোর। চপারে করে মু্ম্বইতে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন দিল্লি প্রশাসনের কাছ থেকে। কিন্তু লকডাউনের জন্য মেলেনি সেই অনুমতি। তাই অবশেষে সড়কপথে রওনা হওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন রিধিমা।
শুধুমাত্র ৪জনই যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ছাড়পত্র পাওয়ার পরই পয়লা মে, শুক্রবার মেয়ে সামারাকে নিয়ে মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা হন রিধিমা। ১৮ ঘণ্টার রাস্তা। অবশেষে শনিবার রাতে ১৪০০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে মুম্বইতে নিজের বাড়িতে পৌঁছেছেন রিধিমা কাপুর সাহানি।
বিবাহসূত্রে দিল্লিতে থাকেন ঋষিকন্যা। রাজধানীরই এক হাই প্রোফাইল ব্যবসায়ী পরিবারে বিয়ে হয়েছে তাঁর। রিধিমার এই সিদ্ধান্তে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কটু কথা বলেছেন। স্টারডমের দৌলতেই লকডাউন ভেঙেও দিল্লি থেকে মুম্বইতে সফর করার ছাড়পত্র পেয়েছেন রিধিমা, বলে অনেকেই তোপ দেগেছেন ঋষিকন্যার দিকে।
অনেকেই আবার প্রয়াত ইরফান খানের মা মারা যাওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেও তুলনা টেনেছেন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র মা নীতু কাপুর এবং ভাই রণবীরের পাশে থাকতে চেয়েছেন রিধিমা। সেই জন্যই ১৪০০ কিলোমিটার সড়কে সফর করে তাঁর বাড়ি আসা।
সুত্র:সংবাদ প্রতিদিন