রাজ্যে ফের বৃষ্টির পূ্র্বাভাস , রয়েছে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা !
কলকাতা: ফের রাজ্যে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা। একইসঙ্গে বইতে পারে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। তবে রাজ্যের দু-একটি জেলায় এই ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিক্ষিপ্ত কালবৈশাখীর আশঙ্কা থাকছে বেশ কয়েকটি জেলায়। মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম এই এলাকাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগণা জেলার একাধিক এলাকায় সকাল গড়াতেই আকাশের মুখ গোমড়া হয়ে যায়। ব্যাপক বৃষ্টি না হলেও, সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে সকালের পরপর সময়ে। পাশাপাশি বিকেলের দিকে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এছাড়া রাজস্থান থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত রয়েছে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। আর এরফলে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে। এই জলীয় বাষ্পই আবহাওয়া পরিবর্তনের ও ঝড় বৃষ্টির কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার হালকা মাপের বৃষ্টি হলেও মঙ্গলবার ও বুধবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
হাওয়া অফিসের সহ অধিকর্তা ডঃ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , ‘দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এটি আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বেশি ঘনীভূত হবে, পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় এটি অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এবং পড়ে সেটি ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হবে। এর গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। কারণ এই সম্ভাব্য ঘূর্ণাবর্ত খুব ধীরে ধীরে ঘনীভূত হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন , এর মূল প্রভাব পড়বে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেই। রাজ্যে এর পরোক্ষ প্রভাব পড়বে।’
একইসঙ্গে তিনি জানাচ্ছেন , ‘এই সিস্টেমের জেরে আন্দামান ও নিকোবরে বৃষ্টি হবে ৬ মে পর্যন্ত। তার প্রভাব সরাসরি এ রাজ্যের উপরে পড়ার সম্ভাবনা নেই। গভীর নিম্নচাপটি আরও কিছুটা শক্তি বাড়াবে এবং তা মায়ানমারের দিকে যাবে। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে যে বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তা চলবে। এই বজ্রগর্ভ মেঘে বুধবার পর্যন্ত যে কোনও সময়েই বৃষ্টি হতে পারে।’
সুত্র: কলকাতা24×7