রাজনীতি

১৭ মে-এর পর কী করবে কেন্দ্র? মোদী সরকারকে প্রশ্ন সনিয়া গান্ধীর !

১৭ মে-এর পর কী করবে কেন্দ্র? মোদী সরকারকে প্রশ্ন সনিয়া গান্ধীর !

 

ক্রমেই করোনা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেশে। ক্রমেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই। মৃতের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দেশে। এই অবস্থায় দেশে তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে। এই দফায় শুধু মাত্র রেডজোনগুলিতে লকডাউন চলছে। তবে এই জোনগুলির মধ্যেই দেশের সব বড় শহর থেকে শুরু করে অর্থনীতির কন্দ্রস্থলগুলি রয়েছে।
লকডাউন পরবর্তী অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন সনিয়া

দেশ জুড়ে হওয়া লকডাউন পরিস্থিতি ও তার পরবর্তী অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন সনিয়া গান্ধী। সনিয়া গান্ধী প্রশ্ন করেন যে করোনা ভাইরাসকে রুখতে চলতি লকডাউন আর কতদিন বজায় থাকবে? কোন মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে লকডাউন আরও কিছুদিন জারি থাকবে নাকি তুলে দেওয়া হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র? আর যদি তা উঠেও যায় তবে লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে মোদী সরকার কী ভাবনাচিন্তা করছে সেবিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
১৭ মে’র পর কী হবে?

এই অবস্থায় করোনা নিয়ে আলোচনা করতে এদিন কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ডেকেছিলেন কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধী। সেখানেই কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে বললেন, ‘আগামী ১৭ মে’র পর কী? এবং ১৭ মে’ পর কীভাবে (হবে)? কোন মাপকাঠি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, কতদিন লকডাউন চলবে।’
দেশের কৃষকদের বিষয়ে সনিয়া কী বলেন

দেশের কৃষকদের বিষয়ে সনিয়া বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশের কৃষকদের বিশেষত পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের ধন্যবাদ জানাই। কেননা তাঁরা সমস্ত অসুবিধা সত্ত্বেও দুর্দান্ত গমের ফলন দিয়েছেন এবং দেশের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেছেন।’
কেন্দ্রের কাছে আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানান অশোক গেহলট

এদিকে এদিন এই বৈঠকে অশোক গেহলট বলেন, ‘যদি সরকার বিরাট এক ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা না করে, তবে এরপর রাজ্য তথা গোটা দেশ কীভাবে চলবে? এই পরিস্থিতিতে আমরা দশ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছি। রাজ্যগুলি ত্রাণ প্যাকেজের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে লাগাতার অনুরোধ করে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা এখনও পর্যন্ত ভারত সরকারের কাছ থেকে সেভাবে কিছু সাহায্য পাইনি।’
কেন্দ্রকে এই নিয়ে বিশেষ পরামর্শ দেন পি চিদাম্বরম

এদিকে এদিন কেন্দ্রকে এই নিয়ে বিশেষ পরামর্শ দেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘সমাজের শেষ অংশের মানুষ বা পরিবারের কাছে নগদ টাকা পাঠানোর জন্য সরকারের আর্জি জানাচ্ছি আমরা। পরিবর্তে সরকার মানুষের থেকে অর্থের রিভার্স ট্রান্সফার করছে। নিষ্ঠুর। পরিবারগুলিকে আরও নি:স্ব করে তুলবে নয়া বা উচ্চহারে কর। যখন অর্থনৈতিক কার্যকলাপ থেমে গিয়েছে, তখন বেশি করের বোঝা না চাপিয়ে তাঁদের অভাব পূরণের জন্য সরকারের ধার করা উচিত।’

 

সুত্র: Oneindia

আরও পড়ুন ::

Back to top button