ঝাড়গ্রাম

রেড জোন থেকে ‘প্রেস স্টিকার’ লাগিয়ে ঝাড়গ্রামে ফিরলেন দম্পতি

রেড জোন থেকে 'প্রেস স্টিকার' লাগিয়ে ঝাড়গ্রামে ফিরলেন দম্পতি

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: সংবাদমাধ্যমের কেউ নন, অথচ প্রেস স্টিকার লাগিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকেই। প্রেস স্টিকারের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রেড জোন থেকেও ঢুকে পড়ছেন গ্রিন জোনে।

পুলিশের দাবি, লকডাউনের মধ্যে এলাকায় ফেরার জন্য কিছু মানুষজন সংবাদমাধ্যমের ভুয়ো স্টিকার ব্যবহার করছেন। কেউ আবার পুলিশের অনুমতি নিয়ে এলাকায় পেরার জন্যও গাড়িতে প্রেস স্টিকার লাগাচ্ছেন। বুধবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম শহরের সারদাপীঠ মোড়ে নাকা-চেকিংয়ের সময়ে এমনই একটি গাড়িকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ঝাড়গ্রাম শহরের এক দম্পতি গাড়িতে ছিলেন। হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার অনুমতি নিয়ে পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এক ব্যক্তি তাঁর অন্তসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে ফিরছিলেন। গোলাবাড়ি থানা এলাকাটি রেড জোনের মধ্যে থাকলেও সেখানকার যে এলাকা থেকে ওই দম্পতি এসেছিলেন, সেটি সংক্রামিত এলাকা নয়, তাই পুলিশ তাঁদের অনুমতিপত্র দিয়ছিল। কিন্তু যে গাড়িটি তাঁরা ভাড়া করেছিলেন, ওই গাড়িতে প্রেস স্টিকার কেন লাগানো সেই সদুত্তর দিতে পারেননি গাড়ির চালক।

পুলিশ সূত্রের খবর, গাড়িটি একটি সংবাদমাধ্যম মাঝে মধ্যে ভাড়া নেয়। কিন্তু গাড়িটি ভাড়া দেওয়ার সময়ে প্রেস স্টিকার খোলা হয়নি। এর ফলে এদিন সারদাপীঠ মোড়ে গাড়িটিকে আটকে চালক ও আরোহীদের জেরা করে পুলিশ। বিষয়টি জেলা প্রশাসন-পুলিশের শীর্ষস্তরে জানানো হয়। গাড়িটিকে শহরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

পরে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সারদাপীঠ মোড় থেকে অন্য গাড়িতে ঝাড়গ্রাম শহরের বাড়িতে পৌঁছন ওই দম্পতি। তাঁদের বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গাড়িটিকে সারদাপীঠ মোড় থেকেই হাওড়ার উদ্দেশ্যে ফেরত পাঠানো হয়। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ওই দম্পতি হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার অনুমতি নিয়ে ঝাড়গ্রামে ফিরেছেন।

তবে সাধারণ যাত্রীর গাড়িতে প্রেস স্টিকার লাগানোর বিষয়টি গোলাবাড়ি থানাকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। গাড়ির চালক ও মালিকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করার জন্য গোলাবাড়ি থানা ও হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়েছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button