পর্যটন

লকডাউনেও দারুণ সুজোগ এই ব্যবসায়,আগ্রহী ব্যাক্তি দের আড়াই লক্ষ টাকা সাহায্য করবে সরকার !

লকডাউনেও দারুণ সুজোগ এই ব্যবসায়,আগ্রহী ব্যাক্তি দের আড়াই লক্ষ টাকা সাহায্য করবে সরকার !

 

ওয়েবডেস্ক:‌: নয়াদিল্লি: লকডাউনে উপার্জন হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ শ্রমিক। খাদ্যের সংস্থান করতে গিয়েই কালঘাম ছুটছে দেশের বড় অংশের মানুষের। এই পরিস্থিতিতে শারীরিক অসুস্থার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ কেনা দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে নিম্নবিত্ত বা দরিদ্র শ্রেণির মানুষের জন্য। এই সঙ্কটের মধ্যে আমজনতার ত্রাতা হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী জনৌষধি কেন্দ্রগুলি। কারণ এই ওষুধ বিক্রয় কেন্দ্রগুলি থেকে বাজারের তুলনায় অনেক কম দামে ওষুধ কিনতে পারছেন সাধারণ মানুষ। ২০১৫ সালে মোদি সরকার ভারতীয় জনৌষধি প্রকল্পটি শুরু করেছিল। এই কেন্দ্রগুলি থেকে জেনেরিক ওষুধ বিক্রি হয়। অর্থাত্‍ এই ধরনের ওষুধের কোনও ব্র্যান্ড নেম থাকে না।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে সস্তায় মানুষের কাছে ওষুধ পৌঁছে দেওয়াই সরকারের মূল উদ্দেশ্য। জনৌষধি স্টোরগুলিতে যে জেনেরিক ওষুধ পাওয়া যায়, তা বাজারের তুলনায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সস্তা হয়। সস্তায় ওষুধ বিক্রিতে উত্‍সাহ দিতেই সরকার জেনেরিক ওষুধের উপরে জোর দিচ্ছে। তাই জনৌষধি কেন্দ্র খুলতে নানা রকম সুযোগ সুবিধে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।

কেন্দ্রীয় রসায়ণ ও সার মন্ত্রকের খবর অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশে ৬৩০০টি জনৌষধি কেন্দ্র চালু রয়েছে। লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকে ওষুধ সরবরাহে সমস্যা দেখা দেওয়া সত্ত্বেও এপ্রিল মাসে মোট ৫২ কোটি টাকার ওষুধ বিক্রি হয়েছে জনৌষধি কেন্দ্রগুলি থেকে। মার্চ মাসে বিক্রি হয়েছিল ৪২ কোটি টাকার ওষুধ। হোয়াটসঅ্যাপ এবং ই মেল-এর সাহায্যেও জনৌষধি কেন্দ্রগুলিতে ওষুধের অর্ডার দিতে পারছেন গ্রাহকরা।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কীভাবে এই জনৌষধি কেন্দ্রগুলি খোলা যায়-

জনৌষধি কেন্দ্র খুলতে আড়াই লক্ষ টাকা খরচ হয়। এর গোটা খরচই কেন্দ্রীয় সরকার বহন করছে। এই ধরনের ওষুধের দোকান খুলতে তিনটি ক্যাটাগরি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

প্রথমত, যে কোনও ব্যক্তি, উপার্জনহীন কোনও ফার্মাসিস্ট, চিকিত্‍সক এই ধরনের ওষুধের দোকান খুলতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, এর পাশপাশি ট্রাস্ট, এনজিও, প্রাইভেট হাসপাতাল, সেল্ফ হেল্প গ্রুপ ওষুধের দোকান খুলতে পারবে। তৃতীয়ত, রাজ্য সরকারের মনোনীত কোনও এজেন্সি এই দোকান খুলতে পারবে। এর জন্য ১২০ বর্গফুটের একটি দোকান থাকতে হবে। দোকান চালু করার জন্য সরকারের তরফে ৯০০ রকমের ওষুধ সরবরাহ করা হবে।

এই দোকান খোলার জন্য খুচরো ওষুধ বিক্রির জন্য জনৌষধি স্টোরের নামে লাইসেন্স থাকতে হবে। দোকান খুলতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা http://janaushadhi.gov.in/ লিঙ্কে গিয়ে ফর্ম ডাউনলোড করতে পারবেন। ওই ফর্ম পূরণ করে ব্যুরো অফ ফার্মা পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং অফ ইন্ডিয়া-র জেনারেল ম্যানেজারের কাছে আবেদন পাঠাতে হবে। ব্যুরো অফ ফার্মা পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং অফ ইন্ডিয়া-র ঠিকানা জনৌষধি- এর ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে।

এসসি, এসটি এবং বিশেষভাবে সক্ষমরা দোকান খুলতে চাইলে তাঁদের পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যের ওষুধ অগ্রিম দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। আবেদন করার জন্য কী কী নথি প্রয়োজন?

কোনও ব্যক্তি নিজে আবেদন করলে আধার এবং প্যান কার্ড জমা দিতে হবে। কোনও এনজিও, ফার্মাসিস্ট, চিকিত্‍সক এবং মেডিক্যাল প্র্যাক্টিশনার জনৌষধি কেন্দ্রের জন্য আবেদন সংস্থা গঠনের সার্টিফিকেট এবং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এর পাশাপাশি একটি ১২০ বর্গফুটের দোকান থাকতে হবে।

জনৌষধি স্টোর খুলে কত টাকা উপার্জন সম্ভব? ১. জনৌষধি স্টোরে ওষুধের এমআরপি-র উপরে বিক্রেতা ২০ শতাংশ কমিশন পান। ২. এককালীন ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য করা হয়। ৩. জনৌষধি কেন্দ্রে ১২ মাসে মোট বিক্রির ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ইনসেন্টিভ দেওয়া হয়। যদিও প্রতিমাসের ইনসেন্টিভ সর্বাধিক দশ হাজার টাকা হবে। ৪. উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি, নকশাল উপদ্রুত এলাকা, আদিবাসী এলাকায় ইনসেন্টিভের পরিমাণ ১৫ শতাংশ।

৫. এক্ষেত্রেও মাসিক ইনসেন্টিভের পরিমাণ ১৫ হাজার টাকার হবে না।

সুত্র: News18

আরও পড়ুন ::

Back to top button