জীবন যাত্রা

তাড়াতাড়ি ঘুমানোর গুরুত্বপূর্ণ ৬টি উপকার!

তাড়াতাড়ি ঘুমানোর গুরুত্বপূর্ণ ৬টি উপকার!

তাড়াতাড়ি ঘুমানোর গুরুত্বপূর্ণ ৬টি উপকার আছে। অনেকেই আবার তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার উপকারিতা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নন এবং সে কারণে দেরি করে ঘুমাতে যান। আর এর ফলে পর্যাপ্ত ঘুম হওয়ার আগেই উঠে পড়তে হয়। কিন্তু আপনি যদি তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার উপকারিতাগুলো জানতে পারেন তাহলে হয়তো এ অভ্যাস ত্যাগ করবেন এবং তাড়াতাড়ি ঘুমানোয় আগ্রহী হয়ে উঠবেন।

রোগ প্রতিরোধ: তাড়াতাড়ি ঘুমানো হলে মানুষের বুড়িয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথাসহ কয়েকটি মানসিক রোগ কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যায়। আর এ অভ্যাস গড়ে তুললে আপনার পেটও আপনাকে ধন্যবাদ জানাবে। আর এর ফলে আপনার ত্বক ও চোখ সুস্থ থাকবে। ফলে আপনার শরীরের নানা রোগ-ব্যাধির বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ: কিছু মানুষ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য শারীরিক পরিশ্রম ও খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু তার পরেও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন। বহু মানুষের ক্ষেত্রে এর কারণ হিসেবে দেখা যায় ঘুম।

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুমালে মানুষের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়ে যায়।

উদ্যমতা: আমরা সব সময় আরও উদ্যমী ও সৃষ্টিশীল হতে চাই। আর তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার মাধ্যমে এ কাজ করা সম্ভব হয়। দিনের কার্যক্রম চালানোর জন্য আপনি যখন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠবেন তখন আপনি আরও বেশি প্রাণবন্ত ও উদ্যম বোধ করবেন।

আর ভালো ঘুমের পর সকালে উঠেই পরিপূর্ণভাবে সে উদ্যম পাওয়া সম্ভব। আর রাতে একটি ভালো ঘুমের পর দিনেও আপনি সহজে ক্লান্ত বোধ করবেন না।

এ উদ্যম পরিপূর্ণভাবে কাজ করার জন্য মাঝরাতের যতোটা সম্ভব আগে ঘুমাতে যেতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় রাত নয়টা থেকে ১০টার মধ্যে ঘুমানোর পরিকল্পনা করতে পারলে।

সৌন্দর্য: দেহের সৌন্দর্যের সঙ্গে ঘুমের অত্যন্ত দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। আপনি যদি তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান তাহলে তা আপনার ত্বকের সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়ে দেবে। পর্যাপ্ত ঘুম বাদ দিয়ে হাজার প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহারের মাধ্যমেও কখনোই সৌন্দর্য রক্ষা করা সম্ভব নয়।

সময় ব্যবস্থাপনা: অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এবং তাড়াতাড়ি ওঠা অসম্ভব বলে মনে হয়। এ কারণে আমরা অনেকেই আশা করি প্রতিটি দিন যদি কয়েক ঘণ্টা বড় হতো! কিন্তু এ ঘটনা ঘটে আপনার দুর্বল সময় ব্যবস্থাপনার কারণে। তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা অনেক বেশি সৃষ্টিশীল কাজ করতে উৎসাহ যোগায়।

বয়সের ছাপ: রাতে ভালো ঘুম না হলে মানুষের মুখে বলিরেখা পড়ে এবং চোখের নিচে ‘আন্ডার-আই সার্কলস’ দেখা যায়। এ কারণে অনেক তরুণ তরুণীকেও কয়েক বছর বেশি বয়সি বলে মনে হয়। কিন্তু তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গিয়ে পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে এ বিষয়গুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব। আর এর ফলে অনেক মানুষকে কমবয়সী দেখায়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button