বিনোদন

ক্ষমা চাইলেন দেব, রেশন পৌঁছে দিলেন নিজের পৈতৃক ভিটেয় !

ক্ষমা চাইলেন দেব, রেশন পৌঁছে দিলেন নিজের পৈতৃক ভিটেয় !

 

ওয়েবডেস্ক : গোটা ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ কর কেশপুরের পৈতৃক ভিটেয় থাকা কাকিমা, ভাই ও পরিবারের অন্যদের জন্য রেশন পৌঁছে দিলেন অভিনেতা তথা ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব। সাংসদের খুড়তুতো ভাইয়ের একটি বক্তব্য হইচই ফেলে দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। দেবের ছোট কাকা প্রয়াত বিষ্ণুপদ অধিকারীর ছেলে বিক্রম বলেছিলেন, অভাবে তাঁদের দিন কাটছে।

তৃণমূলের কাছে খাবার চেয়ে মেলেনি। কেশপুরের সিপিএম কর্মীরা তাঁদের বাড়ি গিয়ে ত্রাণ দিয়ে এসেছেন। শনিবার রাত থেকেই এ নিয়ে আন্দোলিত হতে শুরু করেছিল সোশ্যাল মিডিয়া।

কিন্তু রবিবার টুইট করে এই গোটা ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করার পাশাপাশি দেব জানান, এদিন সকালে কেশপুরের মহিষদা গ্রামের বাড়িতে রেশন পৌঁছে গিয়েছে। একটি ছবিও টুইট করেন টলিউডের সুপার স্টার। তাতে দেখা যাচ্ছে দেবের প্রতিনিধি হিসেবে দুই ব্যক্তি কাকার ছেলের হাতে রেশনসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন।

দেবের ভাইয়ের ওই বক্তব্য উড়িয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন, ওঁরা কেউ এসে বলেননি যে খাবার পাচ্ছেন না। সিপিএমের উস্কানিতে সাংসদের ভাই এসব বলেছেন বলে দাবি করেন শিউলি। কিন্তু শিউলির মতো রাজনৈতিক কচকচানি করেননি দেব। ভুল স্বীকার করে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন পৈতৃক ভিটেয়। গত কয়েক ঘণ্টায় দেবের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

অনেকের মতে, সাংসদ হিসেবে তো বটেই সেলিব্রেটি হিসেবে নিজের ‘ইমেজ’ রক্ষা করতে সঠিক পদক্ষেপ করেছেন দেব। সৌজন্যের রাজনীতিতে বারবার নজির গড়েছেন দেব। ২০১৪ সালে প্রথম দিদি তাঁকে প্রার্থী করেছিলেন। যেদিন প্রথম ঘাটালে পা রেখেছিলেন প্রচারের জন্য, সেদিন দেবের পয়লা গন্তব্য কী ছিল? তৃণমূল পার্টি অফিস? না! তিনি সোজা চলে গিয়েছিলেন প্রতিপক্ষ সিপিআই প্রার্থী সন্তোষ রানার বাড়ি।

বয়সে অনেকটা বড় সন্তোষবাবুকে প্রণাম করে দেব বলেছিলেন ভোট ভোটের মতো হোক। কিন্তু হিংসা যেন না ছড়ায়। গত আড়াই দশক ধরে বঙ্গ রাজনীতি জানে কেশপুর, গড়বেতা মানেই অস্ত্রের ঝনঝনানি আর দখলের রাজনীতি। অনেকের মতে, জমানা বদলালেও কেশপুরের রাজনীতিতে শাসকদলের আধিপত্যবাদ এখনও জারি রয়েছে।

কিন্তু দেব বার বার নিজেকে সে সব থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। এদিন ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন, ভুল করলে তিনি দুঃখপ্রকাশ করতে কুণ্ঠাবোধ করেন না। তা শুধরেও নেন।

সুত্র: THE WALL

 

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button