Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
উত্তর দিনাজপুর

রাস্তায় ছড়িয়ে বান্ডিল বান্ডিল নোট, কুড়িয়ে করোনা আতঙ্ক !

রাস্তায় ছড়িয়ে বান্ডিল বান্ডিল নোট, কুড়িয়ে করোনা আতঙ্ক !

 

ওয়েবডেস্ক : উত্তর দিনাজপুর, ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় বের হতেই বাসিন্দারা দেখলেন থরে থরে টাকা। আর তা দেখেই ছোঁ মেরে টাকার বান্ডিল তুলে সোজা পকেটে ঢোকালেন যে যাঁর মতো। কিন্তু তারপরেই ফিরল হুঁশ। এত টাকার নোট কে ছড়িয়ে দিয়ে গেল রাস্তায়! আর কেনই বা! অন্য কোনও মতলব নেই তো? টাকা থেকে করোনা হবে না তো! এমনই আশঙ্কায় আতঙ্ক ছড়াল রায়গঞ্জের বন্দর এলাকায়। শুনে গল্প মনে হলেও মঙ্গলবার সকালে এমনটাই ঘটেছে রায়গঞ্জের বন্দর এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন সকাল ছ’টা নাগাদ কুমারডাঙির দিক থেকে মোটরবাইকে চেপে দু’জন রায়গঞ্জ শহরের দিকে আসছিলেন। বন্দর পোস্ট অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাইক আরোহীরা টাকা ছড়াতে ছড়াতে যান বলে অভিযোগ। দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পেছন থেকে চিত্‍কার করে ডাকাডাকি করলেও ওই মোটরবাইক আরোহীরা তাতে কর্ণপাত না করে সোজা গন্তব্যের দিকে চলে যায় বলে অভিযোগ।

এদিকে রাস্তায় গুচ্ছ গুচ্ছ নোটের বান্ডিল ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখে প্রথমে হতভম্ভ হয়ে পড়লেও পরে সেই নোট পকেটে ঢোকাকে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। লকডাউনের বাজারে একে কাজ নেই, তাই আয় বন্ধ অনেকেরই। তাই রাস্তায় টাকার বান্ডিল পড়ে থাকতে দেখে লোভ সম্বরণ করতে পারেননি অনেকেই। কিন্তু তারপরেই ছড়ায় আতঙ্ক।

কুঢ়িয়ে পাওয়া নোট থেকে করোনা হবে নাতো! খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। যাঁরা যাঁরা রাস্তা থেকে নোট কুড়িয়ে পকেটে ঢুকিয়েছে, তাঁদের চিহ্নিত করে। ওই টাকা সংগ্রহকারীদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয় বলে স্থানীয়রা জানান। তবে কারা এমন ঘটনা ঘটালো তা এখনো স্পষ্ট নয়।

কারও টাকা যদি হারিয়ে গিয়ে থাকে তবে থানায় নিশ্চই জানাবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। এখনও পর্যন্ত এমন কোনও অভিযোগ থানায় জমা পড়েনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দায়ের করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানা। রাস্তার ধারের একটি বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় এই ঘটনার ছবি ধরা পড়েছে। তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সুত্র: THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button