ভারতের সব থেকে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ভাষণ দেওয়া ছাড়া আর কোনও কাজ নেই। এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ঘোষণায় প্রথম দিনের আর্থিক প্যাকেজকে ‘বিগ জ়িরো’ বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘‘আশা ছিল, রাজ্যগুলির জন্য কিছু ঘোষণা হবে। কিছুই নেই। কোভিড পরিকাঠামো তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ নেই। অসংগঠিত ক্ষেত্র, ক্ষুদ্র শিল্প, বাজেট নিয়ন্ত্রণ আইন শিথিল করার প্রশ্নেও কিছু বলা হয়নি। এটা জ়িরো, জ়িরো, জ়িরো। অশ্বডিম্ব, আইওয়াশ, ধোঁকা, ভাঁওতা ছাড়া কিছু নয়।’’
এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন দিলীপ। তিনি বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী টাকা চাইছেন কিন্তু খরচের হিসেব দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি টাকা চাইবেন কিন্তু হিসেব দেবে না তা হতে পারে না।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে কী সুবিধা দিয়েছেন।
দিলীপ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ২০০ কোটি করোনার জন্য খরচ করবেন বলেছিলেন অথচ ১৩০০ কোটি টাকা ক্লাবকে দিয়েছেন ভোট কেনার জন্য। এদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার জন্য তাঁদের ১৫ শতাংশ টাকা মুখ্যমন্ত্রী দিচ্ছেন না।”
যেসব পরিযায়ী শ্রমিক ফেরত এসেছেন, তাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী কী করেছেন, প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁদের কোয়ারেন্টাইন, নমুনা পরীক্ষার জন্য তিনি কী করেছেন। এরপরই দিলীপ বলেন, “ভারতের মধ্যে সব থেকে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তিনি। যাঁর ভাষণ দেওয়া ছাড়া আর কোনও কাজ নেই।”
দিলীপ ঘোষ বলেন, “মোদী সরকার ঠিক করেছে সরাসরি ডিএমদের হাতে টাকা যাবে। একেবারে পিএম টু ডিএম। সেটা যেমন ১০০ দিনের কাজে হয়েছে এবং অন্য সরকারি প্রোজেক্টেও হয়েছে। মিড-ডে মিলেও সেই চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে কাটমানি বন্ধ হয়। তাঁর কটাক্ষ, কেন্দ্রের টাকা যদি রাজ্য সরকারের হাতে না আসে, তাহলে পার্টি কাটমানি পায় না। তাই কেন্দ্র রাজ্যকে যত টাকাই দিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওদিনই খুশি হবেন না।”
সুত্র : কলকাতা ২৪x৭