পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তৈরি থাকুন কর্মীরা,নির্দেশ অমিত শাহের !
ওয়েবডেস্ক : নয়াদিল্লি , আগামী দু সপ্তাহ শুধু পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কাজ করবে বিজেপি। এমনই নির্দেশ অমিত শাহের। দলীয় কর্মীদের প্রতি তাঁর নির্দেশ ঘরে ফিরতে চাওয়া শ্রমিকদের দেশ জুড়ে সাহায্য করুন।
সূত্রের খবর, শাহ বৃহস্পতিবার দলীয় সদর দফতরে বৈঠক করেন। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় দলের কর্মীরা পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করবে। সেই মতো নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে দলের সব সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্য সভাপতিদের কাছে। রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়কের পাশে বিজেপি কর্মীদের ছোট ছোট ক্যাম্প করতে বলা হয়েছে।
অমিত শাহের নির্দেশ এই ক্যাম্পে মিলবে জল, খাবার, মাস্ক, সাবান, চটি। প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিত্সাও করা যাবে এখানে। রাস্তা ছাড়াও রেল লাইনের পাশেও ক্যাম্প খুলবেন বিজেপি কর্মীরা বলে খবর। দলের তরফে নির্দেশ যতগুলি সম্ভব অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার। যাতে সবধরণের চিকিত্সা পরিষেবা তাঁরা পান।
বৃহস্পতিবার দলের সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিজেপি নেতা অমিত শাহ। যেভাবে মাইলের পর মাইল হাঁটছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা ও মৃত্যুর হার বাড়ছে, তা রীতিমত আশঙ্কার বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি।
অমিত শাহ বলেন, শুধুমাত্র রাজ্যগুলির অসহযোগিতার জন্য এই দিন দেখতে হচ্ছে শ্রমিকদের। কেন্দ্র শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করলেও, বেশ কিছু রাজ্য তাতে সায় দেয়নি। ফলে হাঁটতে হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। বিজেপি সূত্রের খবর পরিযায়ী শ্রমিকদের এই সমস্যা সত্বেও তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তাঁর ওপর ভরসা রেখেছেন বলে খবর।
লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করেছিলেন শ্রমিকেরা। কিন্তু দফায় দফায় লকডাউন বাড়ার ফলে বিরাট সমস্যায় পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। একদিকে বিদেশ বিভূঁই। অন্যদিকে কোনও কাজ না থাকা বরং উলটে থাকা খাওয়ার খরচ। সব মিলিয়ে হেঁটে ফেরার পথে বাধ্য হয়েছে শ্রমিকেরা।
গত সপ্তাহেই মহারাষ্ট্রে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। পরিযায়ী শ্রমিকদের দেহের ওপর দিয়ে চলে যায় একটি মালবাহী ট্রেনের খালি রেক। ঘটনায় ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। রেলট্রাক ধরে হাটছিলেন ওই শ্রমিকেরা। দিনভর হাঁটার পর তারা ক্লান্ত হয়ে রেললাইনের ওপরেই বিশ্রাম নিচ্ছিল। ভোর ৫ টা ১৫ নাগাদ চলে আসে মালগাড়ি, ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
সুত্র: কলকাতা24×7