ভয়ঙ্কর ক্ষতির আশঙ্কা বাংলায়, ‘সাবধান’ করলো কেন্দ্র !
ওয়েবডেস্ক : নয়াদিল্লি, শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে সুপার সাইক্লোন আমফান। ইতিমধ্যেই এগিয়ে এসেছে সেই ঘূর্ণিঝড়। আর তাতে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে জানাল কেন্দ্র।সোমবার সন্ধেয় সেই সতর্কবার্তা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বুধবার পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়বে সেই ঝড়। মূলত দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়ার মধ্যে ঝড় আছড়ে পড়ার কথা। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন এনডিআরএফ প্রধান এসএন প্রধান।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, দিঘা ও সুন্দরবনের কাছ থেকে অতিক্রম করার সময় এই সুপার সাইক্লোন আমফানের তীব্রতা ভয়ঙ্কর হতে পারে। সেই সময় গতিবেগ থাকবে ১৬৫-১৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২০ মে আবহাওয়া অত্যন্ত খারাপ থাকবে রাজ্যের।
কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে গাছ উপড়ে যেতে পারে, বাড়ি-ঘরের ক্ষতি হতে পারে, রেল ট্র্যাকে বা ইলেকট্রিক লাইনেও ক্ষতি হতে পারে।
মনে করা হচ্ছে, ১৯ তারিখ ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। ২০ তারিখ ক্রমে বেড়ে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা হতে পারে। এর ফলে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ঘটবে।
ঘূর্ণিঝড় যখন আছড়ে পড়বে তখন সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ঘটে । উত্তর ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে এই জলোচ্ছ্বাস ৪ থেকে ৫.৫ মিটার পর্যন্ত হতে পারে । পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষেত্রে ৩থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
দ্রুত যাতে উদ্ধারকাজ শুরু কয়রা যায় সেজন্যে উপকূলে নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ডকে ইতিমধ্যে হাই-অ্যালার্টে থাকার জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এলাকা বরাবর ৯টি বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে তৈরি রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ ও ক্য়ানিং মহকুমা এলাকায় ৫টি NDRF টিম ও ৪টি SDRF টিম মোতায়েন করা হচ্ছে। ঘোড়ামারা, মৌসুনি, জি-প্লট, গোসাবার ছোট মলখালি দ্বীপে মোতায়েন করা হচ্ছে ৪টি SDRF টিমকে।
অন্যদিকে, সাগর, কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, গোসাবাতে ৫টি NDRF দলকে মোতায়েন করা হচ্ছে। পাশাপাশি দ্রুত উপকূল এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সবদিক থেকে তৈরি প্রশাসন। তবে করোনা ভাইরাসের সময় সামাজিক দূরত্ব মেনে উদ্ধারকাজ চালানোটাই বড়ট চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে।
ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় সুন্দরবনের উপকূলবাসীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিভাবে আমফানের মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন মন্টুরাম পাখিরা।
ইতিমধ্যেই উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি সতর্কীকরণের উদ্দেশ্যে ওই এলাকায় মাইকে প্রচারও চালানো হচ্ছে। সোমবার বাংলা থেকে আরও দূরত্ব কমেছে আমফানের।
সুত্র: কলকাতা24×7