রাজ্য

আমাকে কাজ করতে দিন পছন্দ না হলে আমার মাথা কেটে নিন , আমাকে গুলি করুন : মুখ্যমন্ত্রী

আমাকে কাজ করতে দিন পছন্দ না হলে আমার মাথা কেটে নিন , আমাকে গুলি করুন : মুখ্যমন্ত্রী

ওয়েবডেস্ক :: করোনা এবং আমফান। এই দুইয়ের বিরুদ্ধেই লড়তে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গকে। দিন-রাত এক করে কাজ করছে প্রশাসন। মানুষকেও ধৈর্য্য ধরতে হবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসা উচিত সকলের। শনিবার নবান্ন থেকে এমনই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সুন্দরবনে মানুষ না খেয়ে দিন-রাত কাটাচ্ছেন, দেখে এলাম। তাঁরা তো অধৈর্য হচ্ছেন না! তাহলে আপনারা কেন ধৈর্য ধরছেন না? আমরা সাধ্যমতো কাজ করছি। আমি ও আমার টিম কেউ ৩ দিন ঘুমাইনি। দিন-রাত এক করে কাজ করছি। সব দলকে বলব, কিছুদিনের জন্য ক্ষান্ত হন। কাজ করতে দিন। পছন্দ না হলে আমাকে গুলি করুন। নইলে আমার মাথা কেটে নিন।”

তিনি আরও বলেন, ‘‘ নির্বাচনের সময় যতখুশি রাজনীতি করুন। কিন্তু এই বিপর্যয়ের সময় ক্ষান্ত দিন। এই পরিস্থিতিতে দয়া করে ক্ষুদ্র রাজনীতি করবেন না।’’ শনিবার কাকদ্বীপে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন কেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সময় লাগছে। তিনি জানান, কাজ করার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পরিষেবা স্বাভাবিক করতে সময় লাগছে। সাত দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তাঁর নিজের বাড়িতেই বিদ্যুৎ নেই। ফোন কাজ করছে না। কোনও রকমে কাজ চালাচ্ছেন। সবাইকে এই পরিস্থিতিতে একটু ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আমফান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এ দিন নবান্নে ২০০৯-এর আয়লার প্রসঙ্গও টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘‘দুর্যোগ যখন আসে সহ্য করতে হয়। ধৈর্য ধরতে হয়। আয়লার সময় আমি কিন্তু সমালোচনা করিনি। নোটবন্দি, ঘরবন্দি সবসময় সহযোগিতা করে এসেছি। মানুষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করবেন না। এটা রাজনীতি করার সময় নয়।’’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “লকডাউনের জন্য লোকবল কম। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত লোকবলের অভাব হচ্ছে। তারমধ্যে করোনার জন্য সব সানিটাইজ করে করতে হচ্ছে। ৭৫ শতাংশ দোকান বন্ধ। ট্রেন বন্ধ। কর্মীরা আসতে পারছেন না। তাও সরকারি সব বাস চালাতে বলেছি। বেসরকারি বাস চালাতেও অনুরোধ করেছি।”

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “CESC আমাদের হাতে নেই। আমার হাতে যা আছে করছি সব। বিদ্যুতের তার জুড়তে দক্ষ লোক চাই। আমরা ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা সরকারের থেকে সাহায্য চেয়েছি। সেনাকেও চেয়েছি। কিছু জেনারেটরও চেয়েছি। সেটা দিয়ে আপৎকালীনভাবে চালানো হবে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, সল্টলেক স্টেডিয়াম, নেতাজি ইন্ডোরকেও বলেছি। ৮০ থেকে ৯০টা জেনারেটার জোগাড় করেছি।”

এদিন মুখ্যমন্ত্রী আমফান মোকাবিলায় একটি ফান্ড তৈরির কথা জানান। ইচ্ছুক সহৃদয় ব্যক্তিদের সেই ফান্ডে সাহায্য করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডিজাস্টার রিলিফ ফান্ড তৈরি করেছি। যদি কেউ মনে করেন, সাহায্য করুন। আইসিআই ব্যাঙ্কের 62800104066 এই অ্যাকাউন্টে সাহায্য করতে পারেন।”

সুত্র : কলকাতা ২৪x৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button