তাণ্ডব চালল আমফান, এবার পালা ‘নিসর্গ’-এর, জেনে নিন ঝড়ের বিস্তারিত তথ্য
ওয়েবডেস্ক : মহাপ্রলয় চালিয়ে গেল আমফান৷ এখনও তার স্মৃতি টাটকা মানুষের মনে৷ দক্ষিণবঙ্গে বিপুল ক্ষতি হয়েছে এই সুপার সাইক্লোনের ফলে৷ শহর কলকাতার হালও বেহাল৷ আমফান ঝড়ের পর থেকে বহু এলাকায় বিদ্যুত সংযোগ নেই৷ কোথাও আবার জল জমে রয়েছে৷ তার মধ্যে ছেঁড়া ইলেকট্রিক তার বাড়িয়েছে বিপদ৷
একদিকে যখন করোনা ও লকডাউনের জন্য ঘরবন্দি মানুষ, তখনই এই ঝড়ের ফলে যেন সেই পরিস্থিতি আরও অসহনীয় হয়ে উঠেছে৷ স্বাভাবিকভাবে বাড়িতে আলো-পাখা না থাকলে গৃহবন্দিদশা যে কয়েকগুণ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজ শুরু হয়েছে পুরোদমে৷ তবুও কোথাও কোথাও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে৷ এতটাই অসহ্য হয়ে উঠছে দৈনন্দিন জীবন যে দ্রুত বাড়িতে বিদ্যুত সংযোগ ফেরানের দাবিতে রাস্তায় নামেন অনেকে৷ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন অনেকে৷ সেনা নামিয়েও শুরু হয়েছে রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ সরানোর কাজ৷ আর এ সবের মধ্যেই ফের উঠছে ঝড়ের খবর! শহরজুড়ে এক অদ্ভূত হাওয়া অনুভূত হচ্ছে৷ ঘণ্টায় প্রায় ৪০ কিমি বেগে বইতে শুরু করেছে হাওয়া৷ ফের বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে৷ এতেই আতঙ্কিত শহরবাসী৷ এখনও রেহাই মেলেনি আমফানের ধ্বংস থেকে, তার মধ্যেই কি ফের তাণ্ডব চালাবে প্রকৃতি? এই প্রশ্নেই আরও একবার তঠস্থ রাজ্যবাসী৷
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে যে আগামী কয়েকদিনে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ উত্তরবঙ্গে৷ আগামী ৭২ ঘণ্টায় আছড়ে পড়তে পারে বৃষ্টি৷
তবে এরই মধ্যে সামনে এসেছে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গের কথা৷ বঙ্গোপসাগর বা আরব সাগরে হওয়া আগামী ঘূর্ণিঝড়ের নাম সেটাই ঠিক করা হয়েছে৷ উল্লেখ্য ভারত ও প্রতিবেশী দেশগুলি মিলে তৈরি হয় ঝড়ের নামের তালিকা৷ যার মধ্যে শেষ ঝড়টি ছিল আমফান৷ আবার নতুন নামের তালিকা তৈরি হয়েছে যার মধ্যে প্রথম নামটি হল নিসর্গ৷ এই নামটি দিয়েছে বাংলাদেশ৷ এর পরের ঝড়ের নাম ‘গতি’, যা ভারতের দেওয়া৷
এই সব অঞ্চলে ঝড়গুলোর নামকরণ করে বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, পাকিস্তান, মলদ্বীপ, ওমান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। এর সঙ্গে ২০১৮ সালে যুক্ত হয়েছে আরও পাঁচটি দেশ- ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও ইয়েমেন। এই ১৩টি দেশ আসন্ন ঘূর্ণিঝড়গুলোর জন্য ১৬৯টি নাম প্রস্তাব করেছে। আমফানের পরের ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম ঠিক হয়েছে নিসর্গ, গতি, নিভার।
তবে আপাতত বঙ্গোপসাগর কোনও ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস নেই৷ যে সব খবর রটছে তা সব গুজব৷ জুনের শুরুতে আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, তার হাত ধরে দেশে ঢুকতে পারে বর্ষা৷
সুত্র : নিউজ ১৮