রাজ্য

ঝড়ে উড়ে গিয়েছে ঘরের চাল, ত্রিপল আনতে গিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর হাতে প্রহৃত ব্যক্তি !

ঝড়ে উড়ে গিয়েছে ঘরের চাল, ত্রিপল আনতে গিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর হাতে প্রহৃত ব্যক্তি !

 

ওয়েবডেস্ক : বাঁকুড়া: ‘নিরীহ’ এক গ্রামবাসীকে মারধোরের অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী-সহ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানা এলাকার মাচাতোড়া গ্রামের ঘটনা।

এই ঘটনার প্রতিবাদে গ্রামবাসীদের একাংশ মাচাতোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিমলাপাল থানার পুলিশ। আন্দোলনকারীদের তরফে দাবি করা হয়েছে, মাচাতোড়া গ্রামের সেবক মাজির বাড়ির অবস্থা ভালো নয়। সাম্প্রতিক ঝড়ে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে।

স্থানীয় তৃণমূল সভাপতি শিশির সৎপতির কথা মতো গত বুধবার সে পঞ্চায়েতে ত্রিপল আনতে যায়। একই সঙ্গে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে বকেয়া টাকা না-পাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে দু’পক্ষের বাদানুবাদের মধ্যে প্রধানের স্বামী স্বপন সৎপতির নেতৃত্বে তাঁকে মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত অফিসে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ।

প্রধানের স্বামী স্বপন সৎপতির হাতে ‘আক্রান্ত’ দাবি করে সেবক মাজি বলেন, একশো দিনের কাজ প্রকল্পের বকেয়া টাকা চাইতে গেলে তাকে ব্যাপক মারধোর করা হয়। এই ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত বলেও দাবিও করেন।

একই সঙ্গে প্রধান কনক সৎপতি দীর্ঘদিন পঞ্চায়েতে অনুপস্থিতির কারণে তার স্বামী বকলমে পঞ্চায়েত পরিচালনা করেন বলেও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে মারধোরের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। দলের মাচাতোড়া অঞ্চল যুব সভাপতি রবিদাস চক্রবর্ত্তী বলেন, ওই যুবককে মদ খাইয়ে বিজেপি পঞ্চায়েতে পাঠিয়েছিল।

সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিজেপি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তার দাবি। এই ঘটনায় অভিযোগের তির যার বিরুদ্ধে সেই প্রধানের স্বামী স্বপন সৎপতিকে পাওয়া যায়নি। তাই তার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

সুত্র: কলকাতা24×7

আরও পড়ুন ::

Back to top button