বিচিত্রতা

বিবাহবিচ্ছেদ করে এশিয়া মহাদেশের এখন অন্যতম ধনী এই মহিলা !

বিবাহবিচ্ছেদ করে এশিয়া মহাদেশের এখন অন্যতম ধনী এই মহিলা !

 

ওয়েবডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে দামি বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল গত বছর জুলাইয়ে। স্ত্রী ম্যাকিনজিকে খোরপোশ বাবদ ৩৮৩০ কোটি ডলারের শেয়ার দিয়েছিলেন অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোস। বছর ঘুরতেই আরও একবার চমক। এবার সবচেয়ে দামি বিবাহবিচ্ছেদের মামলা হল এশিয়ায়।

চিনের অন্যতম বড় বায়োলজিক্যাল ফার্ম শেনঝেন কাংটাই বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টের কর্ণধার ৫৬ বছরের ডু ওয়েমেন তাঁর ৪৯ বছরের স্ত্রী ইউয়ান লিপিংয়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করলেন।

ডিভোর্স ফাইল হয়েছিল ২৯ মে। আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে আলাদা হলেন ওয়েমেন এবং লিপিং। চমকটা হল খোরপোশ বাবদ সংস্থার ১৬১.৩ মিলিয়ন শেয়ার স্ত্রী ইউয়ান লিপিংয়ের নামে লিখে দিয়েছেন ওয়েমেন।

ভারতীয় টাকায় যা ১২ হাজার কোটিরও বেশি। আর স্বামীর কোম্পানির বিপুল পরিমাণ শেয়ার পেয়ে রাতারাতিই পৃথিবীর ধণী মহিলাদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন লিপিং। চমকের শেষ এখানেই নয়।

সোমবার বাজার বন্ধের আগে সেই শেয়ারের দামই বেড়েছে প্রায় ৩২০ কোটি ডলার। ফলে এখন বিশ্বের কোটিপতি মহিলাদের তালিকায় সামনের সারিতেই রয়েছে ইউয়ান লিপিংয়ের নাম।

শেনঝেন কাংটাই বায়োলজি ফার্মের শেয়ারের মূল্য গত বছরই বেড়েছিল। বিশ্বের ধণী ব্যক্তিদের মধ্যে ডু ওয়েমেনের নামও রয়েছে। যদিও স্ত্রীকে কোম্পানির বিপুল পরিমাণ শেয়ার দেওয়ার ফলে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬৫০ কোটি ডলার থেকে কমে ৩১০ কোটি ডলার হয়েছে, কিন্তু তারপরেও ধণীতম ব্যক্তিদের মধ্যেই নাম রয়েছে ওয়েমেনের।

গরিব পরিবার থেকে রীতিমতো লড়াই করেই বিশ্বের ধণীদের তালিকায় পাকা জায়গা করেছেন ডু ওয়েমেন। চিনের জিয়াংসি প্রদেশের চাষির ঘড়ে জন্ম। রয়াসনে স্নাতক হওয়ার পরে ১৯৮৭ সালে তিনি একটি ক্লিনিকে কাজ করা শুরু করেন।

১৯৯৫ সালে একটি বায়োটেকনোলজি কোম্পানিতে সেলস ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০০৪ সালে মিনহাই নামে একটি বায়োটেক ফার্ম তৈরি করেন ওয়েমেন।

২০১৭ সালে তাঁর কোম্পানি কাংটাইয়ের উপর আধিপত্য বিস্তার করে। দুই সংস্থাকে এক করেই পথ চলা শুরু করেন ওয়েমেন। কাংটাই বায়ো ফার্মেই ২০১১ সালে বোর্ড অফ ডিরেক্টরের পদে ইউয়ান লিপিং।

অর্থনীতিতে স্নাতক ইউয়ান পড়াশোনা করেছেন বেজিংয়ের ইউনিভার্সিটি অব ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্স থেকে। কানাডার নাগরিক। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পরে শেনঝেনে চলে আসেন।

২০১১ সাল থেকে ২০১৮ সালের অগস্ট পর্যন্ত তিনি কাংটাইয়ের ডিরেক্টরের পদে ছিলেন। বর্তমানে এই সংস্থারই অন্য শাখা বেজিংয়ের মিনহাই বায়োটেকনোলজি ফার্মের ভাইস জেনারেল ম্যানেজার ইউয়ান।

সুত্র: THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button